গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে কেয়া গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বকেয়া বেতনের দাবি ও কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কেয়া গ্রুপের কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেডের শ্রমিকরা। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বকেয়া বেতনের দাবি জানিয়ে কারখানা এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরে বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে কারখানা এলাকা থেকে শ্রমিকরা হেঁটে এসে কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ঘণ্টা খানেক পর মালিকপক্ষ বেতনের পরিশোধের আশ্বাস দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যস্ততায় মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে জরুন এলাকায় অবস্থিত কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা নভেম্বরের বকেয়া বেতন দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করে আসছেন। সোমবার সকাল থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার সামনে কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বন্ধের নোটিশ পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কোনাবাড়ী এলাকার পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, নভেম্বর মাসের বেতন ভাতার দাবিতে কেয়া গ্রুপের শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধের অনুরোধ জানানো হয়। পরে আগামী মাসের ১২ তারিখ বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয় মালিকপক্ষ। পরে শ্রমিকদের মহাসড়ক ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হলে তারা বেতন পরিশোধের আশ্বাস পেয়ে মহাসড়ক ছেড়ে চলে যায়।
এদিকে সোমবার দুপুরে কারখানা বন্ধের নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড (নিট কম্পোজিট ডিভিশন, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিডিশন) ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের (জরুণ, কোনাবাড়ী, গাজীপুর) সকল শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের জানানো হচ্ছে গত ২৬ ডিসেম্বর কারখানার অভ্যন্তরে কিছু সংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক আকস্মিকভাবে অযৌক্তিক ও বেআইনি দাবি নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করেন। শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে, শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজে যোগদানের জন্য বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে উৎপাদন ফ্লোর থেকে কার্ড পাঞ্চ করে বেরিয়ে যান এবং কারখানার অন্যান্য ইউনিটের কাজ বন্ধ করে দেন। বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থাকার কারণে কর্তৃপক্ষ কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।