মাদারীপুরে আড়িয়াল খা দীতে কাঠের সেতুতে যুক্ত ১০টি গ্রাম
মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের সরদার মাহামুদের চর আড়িয়াল খা নদীতে দশটি গ্রামের মানুষ পার হতে খেয়া নৌকায়। কয়েক যুগ ধরে আড়িয়াল খাঁ এই ঘাটটি দিয়ে পারাপার হতে হতো প্রায় দশ গ্রামের মানুষের। খেয়া পারাপারে দিন মুজুর সাধারণ মানুষের নষ্ট হত সময় পোহাতে হতো অনেক ভোগান্তি।
প্রবাসীদের উদ্যোগে সেই ভোগান্তির অবসান ঘটলো এ দশ গ্রামের মানুষের,এ বিষয়টি প্রবাসীদের নজরে আসলে প্রবাসীদের উদ্যোগ গ্রহণ করে একটি কাঠের ব্রীজ নির্মাণের।।
শিবচর উপজেলার নিলখীর বুকে উপর আড়িয়াল খা নদীতে প্রবাসীদের অর্থায়ন ও স্থানীয়দের সার্বিক সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়েছে কাঠের এই সেতু। সেতুটি দেখতে নদীর দুই পাড়ে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল ও দুই উপজেলার সংযোগস্থল সরদার মাহমুদেরচর খেয়াঘাট।
ঘাটটি দীর্ঘদিন ধরে খেয়াপারাপার হয়ে আশপাশের প্রায় ১০টি গ্রাম, ও গ্রামের মানুষের হাটবাজারে যেতে হতো খেয়া নৌকার মাধ্যমে। অসুস্থ্যরোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে হতো বিড়ম্বনা পাশাপাশি কমলমতি শিশু, শিক্ষাথীরাও স্কুল ও কলেজ যাওয়ার সময় বিড়ম্বনা শিকার হতে।
আড়িয়াল খাঁ নদীর বিকল্প পথ ব্যবহার করলে যেমন সময় নষ্ট ও ভুগান্তিতে পরতে হয়। নদীর দুইপাড়েই রয়েছে বিদ্যালয়সহ জনসাধারণের জন্য প্রয়োজনীয় স্থাপনা। যার সুফল পেতে দুইপাড়ের প্রায় ২০থেকে ৩০হাজার মানুষের পরতে হত ভোগান্তিতে। অবশেষে সেই ভোগান্তির অবসান ঘটিয়ে প্রবাসী ও এলাকাবাসীর যৌথ প্রচেষ্টায়। নতুন বছরে গ্রামবাসীকে ৬০০ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি কাঠের সেতু উপহার দিলেন ।
প্রবাসী ও স্থানীয় যুব সমাজ। সেতুটি পেয়ে আনন্দ ও উল্লসিত উপকার ভোগি মানুষেরা।
প্রবাসী ও এলাকাবাসী অর্থায়নে নির্মিত কাঠের সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে “প্রবাসী সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৬০০ফুট, প্রস্থ সাড়ে ৩ ফুট। কাঠ ও বাঁশ দিয়ে তৈরী এই সেতুটি, সেতু নির্মাণের সময় লেগেছে ২মাস এবং ব্যয় হয়েছে ২লক্ষ উপরে টাকা।
সেতুটি দেখতে আসা সুজন মিয়া বলেন, আমার বাড়ি নিলখীতে, প্রায় মাঝে মাঝেই আমি এ খেয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হতাম । পারাপারের সময় নানা দূর্ভোগ পোহাতে হত । এখন প্রবাসীদের অর্থায়নের সেতু হওয়াতে আমরা খুশি। স্বল্প সময়ে নদীটি পারাপার হয়ে উপারের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে আবার আসা যাবে। এ জন্য আমরা প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানাই।
আরো এক বাসিন্দা মোঃ মাসুদ রানা বলেন , নতুন বছরে নতুন উপহার পেয়ে আনন্দিত। এতো বড় কাঠের সেতু আমি আগে দেখিনি। আমার মনে হয় জেলার মধ্যে এতো বড় কাঠের সেতু এটাই প্রথম।
বছরের প্রথম দিন প্রবাসী ও স্থানীয়দের সহায়তায় নির্মাণাধীন কাঠের সেতুটি উদ্বোধনের কথা শুনে সেতুটি দেখতে আসলাম।
নিলখী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল রহিম লপ্তি বলেন,আমাদের এলাকার প্রবাসী ও যুবসমাজের উদ্যোগে নিজেদের অর্থায়নে বিশাল এই কাঠের সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রবাসী ও স্থানীয়দের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। কাঠের সেতুটি নির্মাণ করায় এ এলাকার মানুষ অনেক দূভোগ কমবে।