
বাউফলে ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও ঝাড়–মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে সর্বস্তরের ছাত্র—জনতার উদ্দোগে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিতহয়েছে। মিছিলটি বাউফল পৌরশহেরর পাবলিক মাঠ থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ গেইট সড়কের সামনে গিয়ে শেষহয়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রখেন, বাউফল সরকারি কলেজের আয়শাতুন্নেছা বর্ষা ও শুভ চন্দ্র শীল ওকালাইয়া ফাজিল মাদরাসার ফাজিল তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী শাহনাজ আক্তার প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা জাতীয় পর্যায়েএকাধিক পুরুস্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক কালের কন্ঠের পটুয়াখালী প্রতিনিধি এমরান হাসান সোহেল এর সঙ্গে
বাউফল উপজেলার ইউএনও আমিনুল ইসলামের ঔদ্ধত্যপূর্ন ও অগ্রহনযোগ্য আচারণের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,আমরা দুর্নীতিবাজ ইউএনওকে বাউফলে চাই না। বাউফলে এমন একজন ইউএনও চাই যিনি প্রকৃত অর্থেজনগনের সেবক হবেন।
ইতিমধ্যে তিনি বিভিন্ন দুর্নীতে জড়িয়ে পড়েছেন। এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ১৫ টি পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে সম্মানীভাতা হিসেবে প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযেগ
করেন। আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে এই ইউএনওকে অপসারণ করা না হলে আরো কঠোর কর্মসুচী ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তাঁরা।
আঃ মমিন নামে স্থানীয় একজন রিক্সাচালক অভিযোগ করে বলেন, আমি একদিন উপজেলা চত্বরে রিক্সনিয়ে প্রবেশ করি। আমি বুজি নাই উনি ইউএনও। এ সময় ইউএনও মহোদয় সেখানে প্রবেশের দায়ে ২/৩ টি চড় তাপ্পর মারেন।
উনি আমার সঙ্গেও বেয়াদবি করছেন। আমাকে ধরে নিয়ে যান। পরে উনার ড্রাইভার ইব্রহিম আমাকে ছাড়িয়ে আনেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আমিনুল ইসলাম সাংবাদিককে বলেন, আমি কোন অসদাচারণ করিনি।
উল্টো উনি আমার সাথে অসদাচারণ করেছেন।
উল্লেখ্য,গত সোমবার বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির বাউফলউপজেলা শাখার আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে ইউএনওকে দাওয়াত না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই কমিটির সভাপতি কালের কন্ঠের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি এমরান হাসান সোহেল কে শাস্তি দিয়ে জেলে ভরে দেওয়ার হুমকী দিয়ে বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের এমন চাকার, মালিককে শাস্তিও দিতে পারি। হুমকীর ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।