
নোয়াখালীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার নলুয়া মৌজায় আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জায়গায় আবদুল খালেক গং মাটি কেটে নিয়ে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কবিরহাট উপজেলার ১৭১ নং নলুয়া মৌজায় ২০০১সালে ৭৭৮ নং ছাপকবলা দলিল মূলে মোহাম্মদ হানিফ ও সাজেদা খাতুন প্রকাশ মমি আক্তার মালিক হয়ে বাড়ীঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। যে নিরিখে মাঠ জরিপের ৩২১৫ ও ডিপি ২৪৪৮নং খাতিয়ানের সাবেক ১৬৪৬দাগে জমি রেকর্ড লিপিবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ২৩৪৮ খাতিয়ান ভুক্ত ৬৭ শতক জমি আবুল খায়ের ও আবদুল মালেকের নামে সাবেক ১৬৪৬ দাগের হালে ৫৩৯৯ দাগে জমি রেকর্ড করে। তাই নালিশা ভূমি নিজ নামে রেকর্ড ভুক্ত করতে মোহাম্মদ হানিফ ও সাজেদা খাতুন প্রকাশ মমি আক্তার নোয়াখালী ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে ২০২৪ সালে ৯২১নং মামলা দায়ের করে। মামলা চলমান থাকাবস্থায় ইতিপুর্বে আবদুল মালেক ও আবুল খায়ের গং কৃষি জমির মাটি কেটে বিরোধপূর্ণ জমি দখলের চেষ্টা করলে প্রতিকারের জন্য সামছুল হকের ছেলে মাসুদ ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০৭/২৪ নং পিটিশান মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উভয়পক্ষকে বর্ণিত সম্পত্তি
বেদখলের চেষ্টা না করার জন্য নির্দেশ দেন, একই সাথে আদালত ২৭ মে ধার্য তারিখে উভয় পক্ষদ্বয়কে তাদের মালিকানা কাগজ শুনানিতে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু আব্দুল মালেক গংরা উক্ত নির্দেশ না মেনে জমি দখণদলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে মামলার বাদী জানান।
দখলের ব্যাপারে আব্দুল মালেক ও আবুল খায়ের বলেন, মোহাম্মদ হানিফ ও সাজেদা খাতুন প্রকাশ মমি আক্তার এর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের জমি প্রতিপক্ষ ভুয়া দলিল ও জমা খারিজ সৃজন করে আমাদের হয়রানি করে আসছে।
আদালতের ১৪৪/১৪৫ ফৌজদারি কার্যবিধির নোটিশ জারী কারী কবিরহাট থানার এস আই মো: মনির মিয়া বলেন, আদালত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিরোধপুর্ন জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারীর প্রেক্ষিতে আমি উভয় পক্ষকে জানিয়েছি, কোন পক্ষ না মানলে আদালত অবমাননার সামিল হবে।