
গাজায় ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় শিবিরের নিন্দা ও প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোরে গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৩৫৬ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছেন। এই ভয়াবহ গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল আবারও গাজার নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে। যারা আগে থেকেই সহায়-সম্বল ও স্বজন হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। আজ আবারও বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েল তাদের দুঃখ-দুর্দশাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আমরা দখলদার ইসরাইলের এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা ১৬ মাসের হত্যাযজ্ঞে ইসরায়েল ১৮ হাজারেরও বেশি শিশুসহ ৪৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিককে শহীদ করেছে এবং ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি মানুষকে আহত করেছে। এই গণহত্যা মানব ইতিহাসের সব নিষ্ঠুরতাকে ছাড়িয়ে গেছে।
বিবৃতিতে আরও বলেন, নিজেদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের রক্ষক দাবি করা আমেরিকা শুরু থেকেই এই হত্যাযজ্ঞের প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে আসছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে হামলার অনুমোদন দিয়ে আবারও প্রমাণ করেছে যে, তাদের কাছে মানবাধিকার নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দেশের জন্য বরাদ্দ; সর্বজনীন মানবতার প্রতি তাদের কোনো বিশ্বাস নেই। গাজায় নতুন করে চালানো হামলা ট্রাম্পের ১০ ফেব্রুয়ারির ‘গাজাকে জাহান্নামে পরিণত করার’ হুমকিরই বাস্তবায়ন। আমরা তার এই উন্মাদনার তীব্র নিন্দা জানাই।
বিশ্ববাসীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় এ নেতারা বলেন, মার্কিনিদের মদদে পরিচালিত এই গণহত্যা কি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নয়?
দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ দুই নেতা বলেন, বাংলাদেশ সরকারকেও এই বর্বর হামলার বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।