
উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ‘বিতর্কিতদের’ বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছি: বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন
স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে 'বিতর্কিত' উপদেষ্টাদের বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন।
আজ শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছি, আগেও জানিয়েছি। (প্রধান উপদেষ্টার) নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং আরও দুজন ছাত্র উপদেষ্টা (উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলম) যাদের কারণে এ সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তাদের বাদ দেওয়ার জন্য আজকেও লিখিতভাবে আমরা জানিয়েছি।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের আলোচনার মধ্যে মূল বিষয় আসছে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। আমরা বলেছি একটির সঙ্গে আরেকটির সম্পর্ক নেই। কারণ সংস্কার চলমান বিষয়। এটা চলতে থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি এই সরকার সবার সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটা সংস্কার প্রস্তাব দেবে। সেটা চলমান থাকবে। ভবিষ্যতে জনগণ যদি আমাদের ক্ষমতায় বসায়, আমরা সেই সংস্কার চলমানভাবে বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন যত বিলম্ব হবে আমরা মনে করি জাতির কাছে আবার স্বৈরাচার ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। আর এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকার ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ওপর বর্তাবে।
তিনি বলেন, আমরা এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকাররে কর্তা-ব্যক্তিদের এবং যারা দায়ী তাদের বিচার চাই। নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার সুনির্দিষ্ট তারিখের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়নি। আমরা আমাদের দাবি জানিয়েছি। এই বিষয়ে উনারা কী বলেন, তারপর আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে তারা কোনো দ্বিমত পোষণ করেননি এবং নির্বাচনের ডিসেম্বরের আগেও হতে পারে, এই আলোচনাও হয়েছে।
বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
এর আগে আমীর খসরু জানিয়েছিলেন, বৈঠকে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি আলোচনায় থাকবে।
আজ (২৪ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশ কোন দিকে যাবে, কীভাবে দ্রুত গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরা যাবে—এটাই মূল বিষয়। সেটাই আলোচনায় থাকবে।'
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কীভাবে দ্রুত গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরা যায়। আর তার জন্য এগিয়ে যেতে হলে দ্রুত নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার জন্য নির্বাচন ছাড়া আর কোনো পথ নেই। নির্বাচনই মূল বিষয়, এবং আমি নিশ্চিত, এ বিষয়টি আলোচনায় আসবে।'
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং তারপর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের কথা রয়েছে।