ডার্ক মোড
Tuesday, 07 May 2024
ePaper   
Logo
ডাঃ হয়েও বাবার সাথে ধানের চারা রোপন করছেন বাগাতিপাড়ার ডাঃ সোহানুর

ডাঃ হয়েও বাবার সাথে ধানের চারা রোপন করছেন বাগাতিপাড়ার ডাঃ সোহানুর

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সোহানুর রহমান তাঁর বাবার সাথে নিজ জমিতে ধানের চারা রোপণ করছেন। এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় ডাক্তার সোহানুর রহমানের।

তিনি জানায়, তাঁদের মাঠে যে অল্প পরিমাণ জমি রয়েছে সেগুলোতে তাঁর বাবা নিজেই এখনও কাজ করেন। গত শুক্রবার (২০-জানুয়ারী) দুপুরের খাবার খাওয়ার পর তাঁর বাবা নিজ জমিতে ধান রোপণের জন্য মাঠে বের হয়েছিলেন।

ছুটি থাকায় তিনিও তাঁর বাবার সাথে উপজেলার পৌর এলাকায় পেড়াবাড়িয়ার দরগাবাড়ি মাঠে গিয়ে একসাথে ধানের চারা রোপণ করেছেন। পারিবারিক অসচ্ছলতার জন্য ছোট বেলা থেকেই তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি সময় পেলেই কাজে বাবাকে সহায়তা করেন। তাই এখনও সুযোগ পেলে বাবার সাথে মাঠের কাজে লেগে পড়েন।

আরও জানা গেছে, তিনি বাগাতিপাড়া পৌরসভার সোনাপাতিল মহল্লার সমশের আলীর একমাত্র ছেলে। তাঁর একটি ছোট বোন আছে। তিনি উপজেলার দয়ারামপুর সেনানিবাসে অবস্থিত কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।

পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ১৩-১৪ সেশন থেকে পাশ করে ৪২ তম বিসিএস পরীক্ষায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। এখন তিনি ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।

ডাক্তার সোহানুর রহমান বলেন, তাঁদের পারিবারিক অবস্থা ভালো ছিলো না। অনেক কষ্ট করে তিনি এই অবস্থায় এসেছেন। তাঁর বাবা তাঁকে কাজ করতে দিতেননা। কিন্তু জোর করে তিনি তাঁর বাবার সাথে মাঠে কাজ করতেন। এমনকি তিনি ছোট বেলায় বিলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রিও করেছেন। এখনও তিনি কোনো কাজকে অবহেলার চোখে দেখেননা। তাই সুযোগ পেলেই বাবার সাথে কাজে লেগে পড়েন।

বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সোহানুর হাসপাতালে একজন আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করেন। এবং তাঁর বাবাকেও পারিবারিক কাজে সহায়তা করেন বিষয়টি তিনি জানেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন