গোপালগঞ্জে অ্যাক্রোবেটিক শো দেখে শিশু সহ হাজারো দর্শক উচ্ছসিত
গোলাম রব্বানী, গোপালগঞ্জ
সারা দেশের ন্যায় গোপালগঞ্জেও জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত অ্যাক্রোবেটিক শো দেখে শিশু সহ সকল শ্রেণি-পেশার দর্শক উচ্ছসিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মনোমুগন্ধকর এ অ্যাক্রোবেটিক শো'র আয়োজন করে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীরা নান্দনিক ও বৈচিত্র্যময় কলাকৌশল নিয়ে এ অ্যাক্রোবেটিক শোতে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, তারুণ্যের উৎসবের অনুসঙ্গ হিসেবে এখানে অ্যাক্রোবেটিক শো'র আয়োজন করা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে নতুন ভাবনায় দেশকে উন্নত করার প্রত্যয়ে আমাদের এই আয়োজন। আমরা আশা করি এ আয়োজন সবাইকে আনন্দ দিয়েছে। এখানে উপস্থিত সবার মধ্যে নতুন উদ্যাম সঞ্চার হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে নতুন ভাবে দেশ গড়ার অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসক ক্ষুদে অ্যাক্রোবেটসদের কাছে টেনে তাদের দেখানো প্রদর্শনীর ভূয়সি প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও লেখাপড়ার পাশাপাশি এ চর্চাকে অব্যাহত রাখতে অনুপ্রেরণা দেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ডিডিএলজি) বিশ্বজিৎ কুমার পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শেখ শামছুল আরেফীন।
গোপালগঞ্জ জেলা কালচারাল অফিসার ফারহান কবির সিফাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম রকিবুল হাসান, এনডিসি রন্টি পোদ্দার, সহকারী কমিশনার প্রবীর বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার শপথ বৈরাগী, সিনিয়র সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ক্যামিস্ট শেখ ফরিদ আহমেদ, প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের সাংগঠনিক সচিব কে এম সাইফুর রহমান, জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ সহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমাধ্যম সার্কাসের প্রধানতম অঙ্গ অ্যাক্রোবেটিক শিল্প সমগ্র পৃথিবীতে সমাদৃত ও মর্যাদাপূর্ণ। অ্যাক্রোবেটিক শো দেখতে অনুষ্ঠান স্থলে ভীড় করে শিশু-নারীসহ নানা বয়সের দর্শনার্থী।
ছোট্ট একটি রিং এর মধ্য দিয়ে ৩ জন মানুষ কিভাবে বের হয় তা দেখে দর্শকরা খুবই আনন্দ উপভোগ করেন। এছাড়াও কাপড়ের তৈরি রুমাল একসাথে হাতেও পা দিয়ে ঘুরিয়ে উপস্থিত দর্শকদেরকে তাক লাগিয়ে দেন ক্ষুদে অ্যাক্রোবেটসরা। দেশের অ্যাক্রোব্যাট শিল্পীরাই প্রমাণ দিলেন তাঁরাও পিছিয়ে নেই। জমজমাট অ্যাক্রোবেটিক শো দেখে চোখের পাতাও ফেলতে পারেনি দর্শকরা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এই অ্যাক্রোবেটিক দল আক্ষরিক অর্থেই গোপালগঞ্জের দর্শকদের মন জয় করে নেয়।