ডার্ক মোড
Saturday, 25 January 2025
ePaper   
Logo
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করেছে

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস শুক্রবার একটি সুপরিকল্পিত প্রচারণার অংশ হিসেবে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই নেতারা সবার বিরুদ্ধে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। এই পত্রিকাটি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বাংলাদেশ সরকারের কোনো বক্তব্য নেয়নি।

শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেক ভারতীয় পত্রিকার একটি প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে এমনটাই দাবি করেছে।

সেখানে বলা হয়, ওই পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম হলো— গোপনে আশ্রয় নিয়ে হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা, আইনের শাসন ফেরার অপেক্ষায়। এই প্রতিবেদনে মূলত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে এবং সাংবাদিকতার মৌলিক নিয়ম মানা হয়নি।

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নাহিম রাজ্জাকের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের লোকেরা বিচারিক অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং জামিন পাচ্ছে না। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছে, যা আওয়ামী লীগ শাসনামলে কিছু সাবেক মন্ত্রী যেমন সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও এম এ মান্নানের জামিন পাওয়া এবং জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়।

রিপোর্টে সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিমকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে তারা দেশে ফিরে আসবেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে আইনের শাসন পুরোপুরি অনুপস্থিত ছিল, যার ফলে হাজার হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যা, কমপক্ষে ৩ হাজার গুমের ঘটনা, লাগামহীন দুর্নীতি এবং সরকারি তহবিল থেকে কয়েক বিলিয়ন টাকা লুটপাট হয়েছে। স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের দ্বারা প্রস্তুত করা একটি শ্বেতপত্রে এই চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির নথিপত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের অপশাসনের চূড়ান্ত পরিণতি ছিল জুলাই মাসের ছাত্র আন্দোলনের সময় এক হাজারেরও বেশি শান্তিপূর্ণ তরুণ প্রতিবাদকারীর হত্যাকাণ্ড, যা স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার অনুসারীদের দেশত্যাগে বাধ্য করেছিল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে।

সাবেক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হকের উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্টে পুলিশ স্টেশনগুলো থেকে লুট হওয়া হাজার হাজার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট এবং পরবর্তী দুই দিনে, যখন দেশে কোনো কার্যকর সরকার ছিল না, তখন পুলিশ স্টেশনগুলো থেকে লুট হওয়া ৫ হাজার ৭৫০ অস্ত্রের মধ্যে অন্তত ৪ হাজার ৩৫৮টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকি অস্ত্র উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।

প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেক বলছে, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাদেশের কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষের মন্তব্য নেয়নি, যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং জনগণের বিরুদ্ধে একটি প্রোপাগান্ডা চালানোর উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন