
দোহারে দোকান ভাংচুর ও উচ্ছেদের অভিযোগ,আহত—১
মাহবুবুর রহমান টিপ দোহার (ঢাকা)
ঢাকার দোহার উপজেলার দোহার বাজার পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন দুই দোকানিকে জোরপূবর্ক দোকান উচ্ছেদকালে দোকান মালিক বাধাঁ দিলে তাকে মারধরের ঘটনা
ঘটেছে।এ ঘটনায় খবর পেয়ে দোহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বললেও উচ্ছেদকাজ চালিয়ে যান প্রভাবশালী ডালু খন্দকার।
পরে ঘটনাস্থলে দোহার ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
আহত হলেন— দোহার খালপাড় এলাকার মিঠু পাল।এ সময়ে আহত মিঠু অভিযোগ করেন ডালু খন্দকার (পীর ডালু শাহ্ধসঢ়;) নামে এক ব্যক্তির
বিরুদ্ধে।জমির মালিক দাবী করে ভূক্তভোগী দোহার খালপাড় এলাকার নজরুল ইসলাম মুক্তার ও নুরুল ইসলাম মনির জানান, দোহার বাজারে তাদের ক্রযকৃত জমির
উপর তিনটি দোকান তুলে ভাড়া দেন তারা। দীর্ঘদিন পর দোহার পেট্রোল পাম্পের মালিক ডালু খন্দকার জোরপূর্বক দোকানের জমি কিনে নিতে
চায়। এতে রাজি না হলে মঙ্গলবার সকালে তার লোকজন দিয়ে দোকান উচ্ছেদ করে দিয়ে বালু দিয়ে ভড়াটের চেষ্টা করেন। এসময় দোকানের
ভাড়াটিয়া মিঠু পাল বাধা দিলে তাকে মারধর করেন ডালু খন্দকার। নজরুল ইসলাম মোক্তার আর বলেন, আমরা জমি বিক্রি করবো না বলার পরেও আমাদের
দোকান উচ্ছেদ করা হলো, আমরা এর বিচার চাই।আহত ব্যবসায়ী মিঠু পাল অভিযোগ বলেন, মালিকের সাথে কথা না বলে আমার দোকান লোকজন দিয়ে ভাংচুর করে ডালু খন্দকার। আমি বাধা দিলে মারধর করেন। মিঠু আরও বলেন, এই দোকান বন্ধ থাকলে আমাকে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। আমি এর ক্ষতিপূরণ চাই।
দোহার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মতিন চোকদার বলেন, দোকান উচ্ছেদের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমি ডালু
খন্দকারকে দোকান মালিকের সাথে কথা বলে সমাধানের কথা বলেছিলাম।ব্যবসায়ীকে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতির
সাথে কথা বলে সিন্ধান্ত নেয়া হবে।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ডালু খন্দকারের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি কোন প্রকার বক্তব্য দিতে রাজি হননি।এ বিষয়ে দোহার থানার ওসি মো.রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি তিনিজেনে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।