ডার্ক মোড
Thursday, 22 May 2025
ePaper   
Logo
‎মীরসরাইয়ে সমন্বিত কৃষি খামার করে সাবলম্বী উদ্যোক্তা আফতাব

‎মীরসরাইয়ে সমন্বিত কৃষি খামার করে সাবলম্বী উদ্যোক্তা আফতাব

 

‎আনোয়ারুল হক নিজামী মীরসরাই (চট্টগ্রাম) 
‎পরিশ্রম, দূরদৃষ্টি আর সঠিক পরিকল্পনা যে মানুষকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যেতে পারে, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মীরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের শিক্ষিত যুবক আফতাব উদ্দিন। এক সময়ের ক্ষুদ্র চাষী হলেও আজ সমন্বিত কৃষি খামারের মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন একজন সফল ও স্বাবলম্বী উদ্যোক্তা।
‎আফতাব উদ্দিন শুরুতে শুধু ধান ও শাকসবজি চাষ করতেন। তবে বাজারে ন্যায্য মূল্য না পাওয়া এবং মৌসুমি লোকসানে তিনি নতুন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে কৃষি , প্রাণিসম্পদ ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরামর্শ ও নিজের চেষ্টায় তিনি গড়ে তোলেন একটি সমন্বিত খামার যেখানে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি গবাদিপশু পালন, হাঁস-মুরগি, কবুতরের খামার, মাছ চাষ, কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) একসাথে পরিচালনা করছেন।
‎বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ২৭টি গরু, ১০০টি হাঁস-মুরগি এবং ৩টি পুকুরে মাছের চাষ, খামারের পাশে গড়ে তুলেছেন ২২টি রিংয়ে কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট), সবজির বাগানও জার্মান নেপিয়ার ঘাস চাষ। পুরো ব্যবস্থাপনাটি তিনি নিজেই পর্যবেক্ষণ করার এবং পরিবারের সদস্য ও ১০জন কর্মচারী সহযোগিতা করেন।
‎আফতাব উদ্দিন জানান, “শুরুতে একটু ঝুঁকি ছিল, কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা, পারিবারিক সহযোগিতা ও সরকারি সহযোগিতায় আজ আমি মোটামুটি সফল। এখন আমার খামারে আছে ২৭টি গরু, ৯ একর জমিতে জার্মান নেপিয়ার, ৮ একর জমিতে ধান চাষ, ৫শ বস্তায় আদা চাষ, ২২টি রিংয়ে কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট), ১ একর জমিতে সবজি চাষ, মৌসুম বেঁধে সরিষা ও সুর্যমুখী চাষ করে স্থানীয় তেলের চাহিদা যোগান দেওয়া হয়। বর্তমানে আমার খামারে ১০ জন শ্রমিক কাজ করে।
‎উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, আফতাবের খামার এখন অনেকের জন্য মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক তরুণ কৃষক তার পথ অনুসরণ করে নিজেদের জীবনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন।
‎আফতাবের এই সফলতা শুধু তার পরিবারের মুখে হাঁসি ফোটায়নি, বদলে দিয়েছে আজমনগর গ্রামের চিত্রও। এমন উদ্যোগে সমাজে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাস।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন