
দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু
দোহার ও নবাবগঞ্জ(ঢাকা)প্রতিনিধি
ঢাকার দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলায় একটি ছেলে নবজাতকে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।প্রসুতি রানী আক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।প্রসুতি রানী আক্তারের আবির হোসেন(৩) নামে আরও একটি ছেলে
রয়েছেন।দোহার পৌরসভা দক্ষিন জয়পাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী উজ্জ্বল
হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমি দুই দিন আগেও;আমার স্ত্রী রানীআক্তারকে হাসপাতালে দেখিয়েছি। আজ বেলা ১০টার দিকে আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যাথা উঠলে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানে ডা.শিউলি আক্তারের অপারেশন করার কথা ছিল। কিন্ত তিনি ৪ ঘন্টা পর
হাসপাতালে আসেন এবং সিজার করতে অপারেশন রুমে নিয়ে যান রোগীকে। সেখান থেকে জানান, রোগী ও গর্ভের সন্তানের হার্ডবিট পাওয়া যাচ্ছে না।এক পর্যায়ে আমার নবজাতকের মৃত্যু ঘোষনা করেন চিকিৎসক শিউলী আক্তার। ডাক্তাররা অবহেলা করে আমার মূমুর্ষ স্ত্রীকে
ফেলে রেখেছেন।একপর্যায়ে ৪ ঘন্টা পর তারা সিজার করতে নিয়ে যায়। এরপর জানায় গর্ভের বাচ্চাটি মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই।ডা. শিউলী আক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের (গাইনী এন্ড অবস) সহকারী সার্জনের দায়িত্বে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিকরা জানান, ডা.শিউলী আক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ল্যাব কেয়ার, দোহার জেনারেল হাসপাতাল ও মুক্তি ক্লিনিকে প্রাইভেটে রোগী দেখেন ৬শত টাকা ভিজিটে। প্রতিদিন বেলা ১২ টা থেকে দুপুর
২টা পর্যন্ত নিয়মিত প্রাইভেটে রোগী দেখেন। এছাড়াও তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের বোনের মেয়ে।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.রবিউল আওয়ালের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রাইভেট ক্লিনিকে বসার কথা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, রোগীর আরও ৩ দিন আগেই ডেলিভারি
তারিখ ছিলো। তারা অনেক দেরী করে হাসপাতালে এসেছেন।সিজারের আগে ও পরে আমরা বাচ্চাটির হার্টবিট পাইনি। বাচ্চা আগেই মারা গেছেন।
এ বিষয়ে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনিসুর রহমান জানান, দ্বিতীয়তলায় ডেলিভারী রুমে একটি ছেলে নবজাতকের মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন এবং তা তিনি রেজিষ্টারে এন্ট্রি করেছেন।
সিজারের দায়িত্বে ছিলেন ডা.শিউলী আক্তার।
এ বিষয়ে ডা.শিউলী আক্তারের সাথে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, এ ঘটনায় নবজাতকের অভিভাবক থানায় কোন অভিযোগ করে—নি।
অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।