ডার্ক মোড
Tuesday, 06 May 2025
ePaper   
Logo
ড. ইউনূস এর নেতৃত্বে প্রিয় মাতৃভূমিকে অপরাজনীতিমুক্ত দেখতে চায় ঐক্য পার্টি  মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী

ড. ইউনূস এর নেতৃত্বে প্রিয় মাতৃভূমিকে অপরাজনীতিমুক্ত দেখতে চায় ঐক্য পার্টি মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী

 নিজ্বস প্রতিবেদক
 


যুগ যুগ ধরে ক্রমান্বয়ে অপরাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে আমরা চলছি। অপরাজনীতিকেই আমরা রাজনীতি মনে করে তার চাষবাস অব্যাহত রাখছি। আর এ কারণেই আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি উন্নত দেশে রূপান্তর হতে পারছেনা।প্রিয় মাতৃভূমিকে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে হলে সবার আগে অপরাজনীতিকে বিদায় দিতে হবে। এই অপরাজনীতিকে বিদায় দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি'র পক্ষ থেকে আমরা বলে আসছি "অপরাজনীতির সংস্কৃতি পরিবর্তন করে প্রিয় মাতৃভূমিকে আমরা উন্নত দেশে রূপান্তর করতে চাই।"কোনো একক ব্যক্তি কিংবা অপরাজনীতিমুক্ত কোনো দল চেষ্টা করে অপরাজনীতি পরিবর্তন করতে পারবেনা। তবে দলটি ক্ষমতায় গেলে তখন পারবে। সেক্ষেত্রে পারার সক্ষমতার দলটির প্রধানসহ কেন্দ্রীয় ফোরামের সিংহভাগকে পুরোপুরি অপরাজনীতিমুক্ত হতে হবে। অন্যথা অপরাজনীতির পরিবর্তন অসম্ভব।

বাংলাদেশে বিরাজমান প্রায় সব দল অপরাজনীতিতে অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে আছে। অপরাজনীতির চর্চার মাধ্যমে বেড়ে উঠা সেসব দল ক্ষমতায় গেলে দলকানার মতো আচরণ করতে বাধ্য হবে আর তাই সেসব দল থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়া দেশবাসীর জন্য জরুরি।বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি গঠনের পূর্বে দেশকে বদলে দেওয়ার মানসে এক বুক আশা নিয়ে একটি নতুন দলে সম্পৃক্ত হয়েছিলাম। নতুন দলটিকে দ্রুত অপরাজনীতির দিকে ধাবিত হতে দেখে ব্যথিত হই। দলটিকে অপরাজনীতিমুক্ত রাখার নিমিত্তে অনেক চেষ্টা করেও সফল না হয়ে এক বুক হতাশা নিয়ে দলটি ছেড়ে চলে আসি। বিভিন্ন দলে অনেক যোগ্য কিংবা সংস্কারপন্থী নেতা থাকলেও দলের প্রধান না চাইলে সেসব যোগ্য ও সংস্কারপন্থীদের কথার কোনো মূল্য নেই। আমার বেলায়ও তাই হয়েছে।"দেশ অপরাজনীতিমুক্ত হোক।" কিছু দেশপ্রেমহীন ব্যক্তি ব্যতিত দেশের সব জনগণ এমনটাই চায়। আমাদেরও একই চাওয়া। আর তাই নতুন রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ সাল থেকে জনগণের সামনে আমাদের হাজির হওয়া। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনাসহ দেশে বিরাজমান দলগুলোর ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টিকে অপরাজনীতিমুক্ত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা আমরা চালাচ্ছি। কেননা দল অপরাজনীতিমুক্ত না হলে সেই দল ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই অপরাজনীতি করবে, দেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছবেনা।ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের দলে ভিড়ানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের আশ্বাস দেশে বিরাজমান প্রায় সব দল দিয়ে থাকে। বলা হয়ে থাকে "দল ক্ষমতায় গেলে যারা খাটবে, যারা না খেটে শুধু সমর্থন দিবে এবং যারা বিরোধিতা করবে, এই তিন ক্যাটাগরির সবাইকে তো এক সমান দেখা হবেনা।" দেখুন! শুরুতে বৈষম্যের চেতনা। "হাজার হাজার জনপ্রতিনিধির মধ্যে আপনিও হতে পারবেন একজন জনপ্রতিনিধি।"এরকম বলে তাদের মধ্যে লাভের একটা ধারণা/চেতনা দিয়ে দেওয়া হয়। লোভে ও ফায়দার নিমিত্তে শুরু হয় অসুস্থ তথা অপরাজনীতির প্রতিযোগিতা। তাই আমরা বলে আসছি সবার আগে চেতনার সংস্কার চাই। চেতনার সংস্কারের কাজটি দেশের প্রধান নির্বাহী থেকে শুরু হতে হবে।দেশে বিরাজমান দলগুলো তথাকথিত কমিটি, নীতির বন্ধনের চেয়ে সম্পর্ক সৃষ্টির বন্ধনের জন্য কূটকৌশল, জনসভা, মিছিল, এসবে দলের কেন্দ্র থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত নেতাকর্মীদের বছরের পর বছর ব্যস্ত রাখে। তাদের ত্যাগের উপর দল ক্ষমতায় গেলে সেসব নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন তারা করতে বাধ্য এইজন্যই যে তাদেরকে আশ্বাস ও লোভ দেখিয়ে দলে খাটানো হয়েছিল। তবে সেসব দলে লোভবিহীন কেউ নেই এমনটা নয়। তারা সংখ্যায় এতো কম যে দলে প্রভাব রাখার পর্যায়ে নেই।কোনো একটি দল ২০ লক্ষ কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রম, তিন/চার/পাঁচ কোটি লোকের ভোট তথা সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসলো। দলটির পক্ষ থেকে যারা ক্ষমতায় যাবেন তারা শুধু দলের ব্যক্তিদের সরকার নয়; যারা ভোট দেয়নি তারাসহ পুরো দেশবাসীর সরকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশে এ যাবৎ কোনো সরকার পুরো দেশবাসীর সরকার হতে পারেনি। এমনকি দলটিকে যারা ভোট দিয়েছে, তাদেরও সরকার হতে পারেনি। তাই পরবর্তীতে পূর্বের বেশিরভাগ নিরীহ ভোটার দলটিকে আর ভোট দেয়না।সারা দেশে বিভিন্ন সরকারি অফিসে ১০ লক্ষ পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে সেই অপরাজনীতিতে আচ্ছন্ন দলটি কী করবে? ২০ লক্ষ কর্মী ছাড়াও প্রায় ৫ কোটি লোক দলটিকে ভোট দিয়েছে, শুধুমাত্র কর্মীদের দিকে নজর দিতে গিয়ে ৫ কোটি দলীয় ভোটারকে বঞ্চিত করবে। সাথে ভোট না দেওয়া জনগণকেও বঞ্চিত করবে। কর্মীদের দিকে নজর দিতে গিয়ে সেখানেও ঘুষ বাণিজ্য করে। দুর্নীতি, দলপ্রীতি না করে যোগ্য যে, স্বচ্ছতার সহিত তাকে নিয়োগ দেওয়া হলে চাকরি কিংবা সুবিধা না পেলেও কেউ নিজেকে তখন বঞ্চিত মনে করবেনা। সরকারের মধ্যে সততা ও স্বচ্ছতা দেখলে সেই সরকারকে নিজের সরকার মনে করে দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে দেশের সকল জনগণ সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখবে।দলের সদস্যদের চেতনায় লোভ না ঢুকিয়ে দল ক্ষমতায় গেলে এবং পরবর্তীতে চাকরী কিংবা অন্য কোনো বিষয়ে দলের কেউ যোগ্যতার ঘাটতির কারণে তা না পেলে কেউ সংক্ষুব্ধ হওয়ার কথা নয়। নিজের দল ক্ষমতায় গেলেও সাধারণ জনগণের তুলনায় বাড়তি সুযোগ দল আমাকে দিবেনা, আমার বাড়তি সুবিধা চাওয়াটাও অনৈতিক এরকম চেতনা সৃষ্টি করা জরুরি।দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে কারা ভোট দিয়েছে, কারা দেয়নি কিংবা নিজের দলের কর্মী-এরকম বাছ-বিচার না করে কেবলমাত্র যোগ্যরাই দেশের চাকরী থেকে শুরু করে সব সেক্টরে যাতে অবস্থান নিয়ে দেশকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে দেশের স্বার্থে সবাইকে একমত হতে হবে। সবার জন্য ন্যায্যতা ও সততা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি দলের কাউকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার কথা বলছেনা।

শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যূত্থানে শেখ হাসিনা পতন পরবর্তী ড. ইউনূস ক্ষমতা পাওয়ায় দেশকে অপরাজনীতিমুক্ত করার একটা অবারিত সুযোগ তাঁর হাতে এসে যায়। তিনি অপরাজনীতির প্রোডাক্ট নন বলেই এই সুযোগ। দেশকে অপরাজনীতিমুক্ত করার অবারিত সুযোগ পেলেও তিনি সেই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন না।যারা অভ্যূত্থানে প্রাণ দিয়েছেন, তারা কিন্তু লোভে প্রাণ দেননি। জুলুম থেকে পরিত্রাণ এবং  দেশকে মুক্ত করার জন্যই তাদের বলিদান। যারা আহত হয়েছেন কিংবা হননি তাদের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। নিহত, আহত কিংবা আন্দোলনে অক্ষত, সবারই চাওয়া বৈষম্যহীন ও অবিচারমুক্ত দেশ।যেহেতু আন্দোলনকারী কেউ লোভে পড়ে আন্দোলনে যায়নি সেহেতু আন্দোলন শেষে স্ব স্ব কাজে সবার চলে যাওয়ার কথা এবং তারা চলে যেতো। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে দল গঠন! ড. ইউনূস তাঁর যোগ্যতার সমান তথা আউটস্ট্যান্ডিং পারফর্ম করলে অন্তত শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক দল গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতোনা। ড. ইউনূস সরকারের ব্যর্থতার কারণেই মূলত শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে ১৫/১০/২০২৪ ও ০৪/১১/২০২৪ তারিখে ড. ইউনূসকে লিখিত আকারে যেসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, সে অনুযায়ী তিনি কাজ করলে এমনটা হতো না।শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এখন অনার্স পড়ুয়া অনেকে রাজনীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন টুইট বার্তায় লিখেছিলেন যে রাজনীতি থেকে টাকা উপার্জন বন্ধ হয়ে গেলে ৯০% রাজনীতিবিদ রাজনীতি ছেড়ে স্ব স্ব কাজে মন দিতো। অপরাজনীতির আদলে গড়া কোনো দলের দ্বারা এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু ড. ইউনূস যেহেতু অপরাজনীতি থেকে উঠে আসেননি, সেহেতু তিনি চাইলে রাজনীতি থেকে টাকা উপার্জনের পথ বন্ধ করে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে একটা পক্ষকে অপরাজনীতি চর্চায় উৎসাহিত করে চলেছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে সিন্ডিকেট কায়েম করেছেন, যা দেশের জন্য অশনি সংকেত।ড. ইউনূস ১/১১ এর সময় রাজনৈতিক দল গঠন করার জন্য অগ্রসর হয়ে থেমে গিয়েছিলেন। ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে এখন তিনি প্রধান উপদেষ্টা। যেসব বাধার ভয়ে ১/১১ এর সময়ে পিছপা হয়েছিলেন এখন তো সেসব বাধা নেই। ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দল গঠন করে জিয়াউর রহমান যে কোনো সরকারের চেয়ে ভালো দেশ উপহার দিয়েছিলেন। ড. ইউনূসের তার থেকে ভালো চালানোর যোগ্যতা ও সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেটাকে কাজে না লাগিয়ে তিনি বিভাজনের রাজনীতি করছেন। ফলে জনপ্রিয়তা দিন দিন কমে যাচ্ছে। নিজেদের সিন্ডিকেটসহ দেশের সব সেক্টরের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে ড. ইউনূস চাইলে পুরো বাংলাদেশের সবাইকে এক সিন্ডিকেটে নিয়ে আসতে পারেন।বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি সব সেক্টরের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে পুরো দেশবাসীকে এক সিন্ডিকেটে আনার লক্ষ্যে যে ফর্মূলা নিয়ে কাজ করছে, সেই ফর্মূলার আলোকে ড. ইউনূস দল গঠন করে আগালে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিসহ দেশ শীঘ্রই উন্নত দেশে রূপান্তর হওয়ার রাজকীয় রাস্তায় উঠে যাবে। তখন জনগণ দেশে বিরাজমান সব দলকে ভুলে গিয়ে ড. ইউনূস বন্দনায় মেতে উঠবে।ড. ইউনূস এর বিকল্প আপাতত কেউ নেই। এতোদিন তিনি ভুল-ভ্রান্তি যা করেছেন, সেসব থেকে নিজেকে শুধরে নিয়ে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তাঁকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে ড. ইউনুসকে বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেসবের বাস্তবায়ন হলে দেশ অপরাজনীতিমুক্ত হওয়ার রাজকীয় রাস্তায় এতোদিনে উঠে যেতো। বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি ড. ইউনূস এর নেতৃত্বে প্রিয় মাতৃভূমিকে অপরাজনীতিমুক্ত দেশ হিসেবে দেখতে চায়।আরেকটি জরুরি বিষয়ে ড. ইউনূসের নিকট আমাদের পরামর্শ: ভারত, ইসরায়েল ও আমেরিকার চাওয়া তথাকথিত মানবিক করিডোর। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি সেই করিডোর। কোনো অবস্থাতেই মিয়ানমারকে তথাকথিত সেই মানবিক করিডোর দেওয়া যাবেনা, যুদ্ধরত দুই গ্রুপ (আরাকান আর্মি ও জান্তা সরকার) মানবিক করিডোরের বিষয়ে একমত হয়ে রাজি থাকলেও নয়। জাতিসংঘ আন্তরিকভাবে চাইলে ফিলিস্তিনে বছরের পর বছর ইয়াহুদীরা গণহত্যা চালাতে পারতোনা। জাতিসংঘ আমেরিকার কথার বাইরে চলার সামর্থ কি রাখে? তারা আমেরিকার ক্রীড়নক হিসেবেই কাজ করে। ইসরায়েলকে তো আমেরিকা টিকিয়ে রাখছে। আবার অনেকে মন্তব্য করে থাকেন যে, ইসরায়েলের কথার বাইরে আমেরিকা নাকি চলতে পারেনা। জাতিসংঘ চাইলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু তারা সেটা না করে আমেরিকার পক্ষ হয়ে মানবিক করিডোরের নাম দিয়ে বাংলাদেশে আরেক আধিপত্যবাদ ঢুকিয়ে দিতে চাচ্ছে। বাংলাদেশকে কুরুক্ষেত্র বানিয়ে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের অস্ত্র বিক্রির সুযোগ দেয়ার নীলনকশা বাস্তবায়নে কেউ ষড়যন্ত্র করলে তাতে দেশপ্রেমিক কেউ সায় দিতে পারেনা। সাম্রাজ্যবাদী কোনো শক্তির ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করা আমাদের উচিত হবেনা। আমাদের নিকটে চীন। ভূরাজনৈতিক খেলায় চীন কিংবা আমেরিকা কারো মাঠে ঢুকা মোটেও উচিত হবেনা। উভয় রাষ্ট্রকে ব্যালেন্স করে চলতে হবে।  ব্যালেন্স অবস্থা বজায় রাখলে কারো অনৈতিক দাবি ভয়ে মানার প্রয়োজনও পড়বেনা। কেউ ঝামেলা করলে বাংলাদেশ অন্যপক্ষে চলে যাবে-এই শংকায় কেউ প্রেসারও তেমন দিবেনা আর তাই কারো আবদার না মেনেও বাংলাদেশ নিশ্চিন্ত থাকতে পারে।
লেখকঃ দেশীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রবক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি।
 
 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন