
মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম রাঙামাটি ও কাপ্তাই মহাসড়কে তিন ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার ঢাকা মহানগরীর সাবেক সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম রাঙামাটি মহাসড়ক, কাপ্তাই সড়ক ও বজলুল রহমান সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ আহলে সু'ন্নাত ওয়াল জামা'য়াত ও ইসলামী ছাত্র সেনা। সোমবার(৫মে) সকল ৯টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এই সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, অবরোধের কারণে রাঙামাটি মহাসড়কের জলিলনগর বাস ষ্টেশন, রাউজান প্রেস ক্লাব থেকে মুন্সিরঘাটা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা। অপরদিকে চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক পাহাড়তলী থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়। এতে প্রায় তিন ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। দুপুর ১২ টার পর যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। রাউজানে সকাল নয়টার দিকে সড়ক অবরোধ শুরু হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত ও ইসলামী ছাত্র সেনার নেতা-কর্মীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন। অবরোধ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাউজান সদরস্থ জলিল নগর স্টেশন থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্রসেনার সভাপতি কে এম তাজুল ইসলাম আসিফ। যুবনেতা মাওলানা এম সাইফুল ইসলাম নেজামী ও পৌর ছাত্রসেনার সভাপতি মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ইসলামী ফ্রন্টের আহবায়ক উপাধ্যক্ষ মাওলানা শামসুল আলম নঈমী, মাওলানা শামসুল আলম হেলালী, মাওলানা নেছারুল হক, মাওলানা মনসুর উদ্দিন নেজামী, মাওলানা নেজাম উদ্দিন তৈয়বী, হাসান মুরাদ ভাণ্ডারী, মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, এম এ রায়হান, মাওলানা শফিউল আজম, তসলিম উদ্দিন বাদশা, মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন প্রমুখ।বক্তারা বলেন, সমাজের সর্বোচ্চ সম্মানের মানুষটি হলেন মসজিদের ইমাম। সে-ই ইমামই যখন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার তখন সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হয়েছে। যে দেশে আলেম নিরাপদ না, সে দেশে কেউই নিরাপদ নয়। বিচারহীনতা আর ক্ষমতাসীনদের পৃষ্ঠপোষকতায় একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটছে। কিন্তু এবার আমরা আর চুপ থাকবো না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই-তদন্তের নাটক নয়, দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসি চাই। নইলে সড়ক তো বন্ধই থাকবে, প্রয়োজনে সারাদেশ অচল করে দেব। প্রশাসন যদি পক্ষ নেয় খুনিদের, তাহলে জনগণের আদালতই রায় দেবে।