স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জামায়াত ভিনদেশের দাসত্বের বিরুদ্ধে ছিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, ভিনদেশের দাসত্বের বিরুদ্ধে ছিল। তৎকালীন জামায়াত নেতারা বুঝেছিলেন, সেই স্বাধীনতা হবে পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্ত হয়ে ভারতের কৃতজ্ঞ হয়ে থাকা। যার ফলে তৎকালীন জামায়াতে ইসলামী সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছে।
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে 'দি ফোরাম অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ' আয়োজিত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ শুধু ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি বরং বাংলাদেশ প্রকৃত স্বাধীনতা লাভ করেছে। যার ফলে ভারতের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখনও হাসিনা ভারতের স্বার্থে ভারতে বসে বাংলাদেশ নিয়ে যড়যন্ত্র করছে। ছাত্র-জনতার অর্জিত এই স্বাধীনতা রক্ষায় দল-মত নির্বিশিষে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন বলেন, গত ১৬ বছরে ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, ভূমি দখল, দুর্নীতির কারিগর শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করেই প্রথমে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, এরপর জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করতে শুরু করে। একে একে হেফাজতে ইসলামসহ যারাই আওয়ামী লীগের জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে তাদেরই আওয়ামী লীগ নিঃশেষ করেছে।
তিনি বলেন, জনগণের ভাষা বুঝতে না পারায় আওয়ামী লীগকে পালাতে হয়েছে। আপনারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল। আপনাদের উপদেষ্টা পরিষদে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা আছে। জনগণ চায় তাদের বাদ দিয়ে জনগণের প্রত্যাশিত উপদেষ্টা পরিষদ গঠন হোক।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, এরশাদের শাসন ব্যবস্থা দেশবাসী দেখেছে। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কতটা কল্যাণকর সেটি জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে দেশবাসী বুঝতে পারবে।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- দি ফোরাম অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।