
বাউফলে একই জমি দুই পক্ষকে লিজ দেওয়ার অভিযোগ
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফলে একই জমি দুই পক্ষকে লিজ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
টাকার বিনিময়ে একই জমি পূণরায় লিজ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পৌরশহরের আল মদিনা জামে মসজিদের নামে চন্দ্রদ্বীপ
ইউনিয়নের চরমিয়াজান মৌজার খাস খতিয়ানের ১৩০৩ নং দাগের ৭ একর জমি লিজ দেওয়া হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)
প্রতীক কুমার কুন্ডু আল মদিনা জামে মসজিদের নামে বাংলা ১৪৩২ সনের জন্য এক বছর মেয়াদী লিজ প্রদান করেন। একই জমি গত ১০ জুলাই ভারপ্রাপ্ত সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম চরমিয়াজান গ্রামের ইব্রাহিম গংয়ের নামে লিজ প্রদান করেন।আল মদিনা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ
মোল্লা বলেন,সকল নিয়মকানুন অনুসরণ করে সরকারি কোষাগারে ১ লাখ টাকা জমা দেওয়ার পর মসজিদের নামে ৭ একর জমি লিজ দেওয়া হয়। বছর শেষে ওই জমি থেকে যা
আয় হবে তা মসজিদের তহবিলে জমা হবে এবং মসজিদ পরিচালনায় ব্যয় হবে।কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মসজিদ কমিটির সঙ্গে
আলাপ আলোচনা না করেই টাকার বিনিময়ে পুণরায় ওই জমি লিজ প্রদান করেছেন। জমি চাষাবাদ করার ক্ষেত্রে এখন দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির উপক্রম হয়েছে।
জমি নিয়ে যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে দায়ভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিতে হবে বলে তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে সদ্য বিদায়ী সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রতীক কুমার কুন্ডু সাংবাদিকদের বলেন, পুণরায় ওই লিজ দেওয়ার সুযোগ নেই। স্যার কিভাবে
দিয়েছেন তা জানি না।
বিষয়টি জানার জন্য বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) ভারপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও
তিনি রিসিভ করেননি।