পুটিজুরী ইউপি চেয়ারম্যান, সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
বাহুবলের পুটিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আইরিন আক্তার কাকলী বিরুদ্ধে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন দাখিল সহ ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ হয়ে তার বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের ছাত্র সমাজ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান মুদ্দত আলী হত্যা মামলা আসামি হওয়ায় পলাতক রয়েছেন কিন্তু ইউনিয়ন সচিব আইরিন আক্তার কাকলী চেয়ারম্যান মুদ্দত উপস্থিত রয়েছেন বলে উপজেলা প্রশাসন বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করে আসছেন।
সচিব চেয়ারম্যানের আদেশে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন দাখিল করে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় পুটিজুরী ইউপি পরিষদ ছেড়ে ২৫ দিন ধরে পালিয়ে আছেন তিনি। প্রায় ২৫ দিন থেকে পরিষদে অনুপস্থিত থাকলেও কার্যত কোনো ছুটি নেয়নি মুদ্দত আলী। তবে পলাতক থেকে এখনো বহালতবিয়তে ‘চেয়ারম্যানগিরি’ করে যাচ্ছেন মুদ্দত আলী। এসব করে চেয়ারম্যান মুদ্দত আলী গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। রয়েছেন অঢেল সম্পদের মালিক তিনি।এছাড়াও ইউনিয়ন সচিব পুঁটিজুরী ইউনিয়নের সাধারন মানুষের জন্মনিবন্ধন অনলাইন ডাটাবেজ করতে সরকার নির্ধারিত ফি ৫০ টাকার পরিবর্তে ৮-৯ গুণ বেশি টাকা আদায় করছেন ইউপি সচিব আইরিন আক্তার কাকলী।
সাধারন মানুষের থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য চেয়ারম্যান মুদ্দত আলী মাধ্যমে পুটিজুরী ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে ৭-৮টি এজেন্ট বসিয়েছেন ওই সচিব। ওই এজেন্টরা সাধারন মানুষের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধনের আবেদন সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত ৫০ টাকার পরিবর্তে প্রতিজনের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এটাকা ভাগ সচিবও পায়। যার কারনে সাধারন মানুষের চেয়ে এজেন্টেদের কাজ গুরুত্বের সাথে করেন সচিব আইরিন আক্তার কাকলী। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, সচিব আইরিন আক্তার কাকলী সপ্তাহে ২-৩ দিন ইউনিয়ন পরিষদে বসেন। বাকি দিনগুলো ইউনিয়নের বাইরে অবস্থান করেন। এর ফলে ইউনিয়নের সাধারন মানুষ ইউপি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কোন মানুষের সচিবকে জরুরী প্রয়োজন হলে তিনি যেখানে থাকেন সেই জায়গায় গিয়ে কাজ করাতে হয়।
ইউএনও কাছে ছাত্র সমাজের অভিযোগকারীরা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মুদ্দত আলী হত্যা মামলা আসামি হওয়ায় পলাতক রয়েছেন কিন্তু ইউনিয়ন সচিব চেয়ারম্যান মুদ্দত উপস্থিত রয়েছেন বলে উপজেলা প্রশাসন বরাবরে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন দাখিল করে আসছেন। এছাড়া জন্মনিবন্ধন করাতে সরকারি ফি ৫০ টাকা হলেও সচিব আদায় করছেন ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা। কোন মানুষ টাকা দিতে না পারলে তার কাজ ফেরে রাখা হয়। এছাড়া চেয়ারম্যান মুদ্দত আলী পলাতক থাকায় ও সচিব আইরিন আক্তার কাকলী নিয়মিত অফিসে না আসায় জনগণ নানা ধরণের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সচিব আইরিন আক্তার কাকলী মোবাইল নাম্বারে বহুবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।