প্রথম স্ত্রীর উপর নির্যাতন, দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সংসার
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় মোঃ ইমাম হোসেন, প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে ১২ বছর দাম্পত্য জীবনের দুই কন্যা সন্তানের জনক। কিন্তু বিয়ের দুই বছর পর থেকেই নতুন করে বিয়ের পিড়িতে ভুত চাপলো মাথায়। বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকবার পরকীয়ায় জড়িয়ে ধরা পরলেও লুকিয়ে লুকিয়ে আরো দুটি বিয়ে করে ইমাম। স্ত্রী-সন্তানের ভরন-পোশন তো দুরের কথা ১বছরের অধিক সময় তাদের খোজ খবর না রাখার এ অভিযোগ পাওয়া যায়।
দৈনিক মুক্ত খবর'র প্রতিনিধি অনুসন্ধানে গিয়ে জানেন, ২০১২ সালে মোঃ ইমাম হোসেন ও মোসাঃ কুলসুম আক্তার হাসির ইসলামী শরিয়ত মতে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে ৮ বছর ও ৩ বছরের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শাহজাল'র ছেলে ইমাম (৩২) বিয়ের পরপরই ইমাম জীবিকার তাগিদে ঢাকার চলে যায়। নব বিবাহিত জীবনের প্রথম দুই বছর ভাল কাটলেও এর পর থেকেই একাধিক বার বিভিন্ন স্থানে পরকীয়া করে স্ত্রী ও পরিবারের কাছে ধরা পরে।
কয়েকবার নাড়ী কেলেঙ্কারীতে ইমামের আর্থিক দন্ড হলেও কুলসুমের বাবা পরিশোধ করে দিয়ে ঝামেলা থেকে ছাড়িয়ে আনেন। সন্তান ও সংসারের কথা চিন্তা করে কুলসুম ইমামকে প্রতিবার মেনে নেয়। এর মধ্যে মোঃ রিমন জোমাদ্দারের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী নাহিদার সাথে ইমামের গভীর পরকীয়ার কারনে রিমনের সংসার ভেঙ্গে যায়এর পরে ২০২১ সালে ঢাকাতে কাকলী নামের একটি মেয়েকে গোপনে বিয়ে করে। কিছুদিন পর ইমামের প্রতারণার বিয়ে জানাজানি হলে সে দুই স্ত্রী নিয়ে উভয় সঙ্কটে পরলে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে কাকলীকে তালাক দেওয়া হয়।
যার পুরো টাকাই কুলসুমের পরিবার বহন করে। ইমাম গ্রামের বাড়িতে জমি কেনার কথা বলে কুলসুমের বাবার নিকট থেকে ২লাখ টাকা নেয়। সর্বশেষ ২০২৪সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতারক ইমাম তালাকপ্রাপ্ত লিজা নামের এক মেয়েকে গোপনে বিয়ে করে। এরপর থেকেই ১ম স্ত্রী কুলসুমের উপর শারিরীক ও ভরণপোষণ নির্যাতন শুরু হয়। কৌশলে হঠাৎ করে কুলসুম কে শশুর বাড়িতে রেখে গিয়ে, যোগাযোগ সম্পুর্ন বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন পর যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে।
খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায়, তালাক প্রাপ্ত লিজা চাকুরী করার জন্য ঢাকায় চলে যায়। সেখানে ইমামের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গাজীপুর সদরের ভবানীপুর বাজার কাজী অফিসে বিয়ে করে কিন্তু কুলসুমের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের পাশাপাশি দুটি গ্রামে কুলসুম ও লিজার বাবা-র বাড়ি। কুলসুম ও লিজা তোর সম্পর্কে আত্মীয় হয়। ধারনা করা হয় লিজা ইমামের সব কিছু জেনেশুনে বিয়ে করে।
এ বিষয়ে লিজা বলেন, প্রস্তাবের মাধ্যমে আমার ইমামের সাথে বিয়ে হয়েছে, আমাদের বিয়ে রায়বার ছিলেন মোঃ মিজান
এ বিষয়ে ইমাম মুঠোফোন বলেন 0710811538, আমার দুই বউ লাগবে, প্রথম বউ আমার বাড়িতে বাবা মায়ের সাথে থাকবে দ্বিতীয় বউ আমার সাথে ঢাকায় থাকবে এবং প্রথম বউ কুলসুম ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৮ টা গরু নিয়ে যদি আমার বাবা মায়ের কাছে আসে এই শর্তে রাজি থাকে তা হলে আমার ঘরের দরজা খোলা। আর না হয় জেল জরিপানা পুরুষের জন্যই হয়।
দুই কন্যা সন্তান বলে, আমাদের বাবাকে অনেকদিন ধরে দেখি না আমার বাবাকে আপনারা সবাই এনে দিতে পারেন। আমাদের বাবাকে দেখতে ইচ্ছে করে, বাবাকে অনেক ভালো বাসি কিন্তু বাবা আমাদের কে ও মাকে ভালো বাসে না।
দুই গ্রামের প্রতিবেশীরা বলেন, ইমাম ছেলেটার মেয়েলি কেলেঙ্কারি সালিশি একাধিক বার করেছি মনে করেছিলাম ছেলেটা ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু চুপি চুপি দ্বিতীয় বিয়ে করলো। এভাবে কুলসিমের উপর নির্যাতন করবে এটা ভাবিনি। ওকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।