ডার্ক মোড
Wednesday, 08 May 2024
ePaper   
Logo
পত্নীতলায় বোরো রোপন দ্রুত এগিয়ে চলছে

পত্নীতলায় বোরো রোপন দ্রুত এগিয়ে চলছে

পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর পত্নীতলায় সঙ্কট ও সম্ভবনার মধ্যে দিয়ে বোরো রোপন দ্রুত এগিয়ে চলছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলার নজিপুর পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে ১৯ হাজার সাত’শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের বোরোর জাতসমূহ হচ্ছে, ব্রি-ধান (বঙ্গবন্ধু ধান) ৮১,৮৯,৯২,১০০, জিরাশাইল, স্থানীয় কাটারী, চায়না (আতব) অন্যতম।’

চাষীরা অভিযোগে জানায়, বিভিন্ন সঙ্কট আর সম্ভাবনার মধ্যে দিয়ে বোরো রোপন এগিয়ে চলছে। বিভিন্ন এলাকায় কোল্ড ইনজুরি’তে বীজতলায় চারা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অন্য এলাকা থেকে সংগ্রহ করতে অতিরিক্ত খরচসহ চাষীরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এরপরও অনেকটা দ্রুতই চারা রোপন এগিয়ে চলছে।

উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের উত্তর দূর্গাপুর গ্রামের চাষী তরিকুল ইসলাম শাওন জানান, ‘৪৫ বিঘা জমিতে বোরো রোপন করছেন। কোল্ড ইনজুরিতে চারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রতি বিঘা জমির জন্য দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায় চারা ক্রয় করতে হচ্ছে।’

উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের শাশইল মধ্যপাড়ার কৃষক বকুল, বুলবুল, আসাদুজ্জামান, হাসান, ইবাদত, রমজান, জুয়েলসহ অনেকেই জানান, ‘বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর গভীর নলকূপ (ডিপটিউবয়েল) সেচ সুবিধা অবাধে সময় মতো পাওয়ায় পুরোদমে বোরো রোপনে মাঠে নেমেছেন।

উপজেলার নজিপুর পৌর এলাকার পালশা গ্রামের চাষী সাইদুল ইসলাম, হরিরামপুর গ্রামের রমজান আলী ও মমতাজ আলী জানান, ‘আমরা শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে বোরো রোপন করছি। শেষ পর্যন্ত ভোজ্য তেলের দাম চড়াসহ সঠিক ভাবে ডিজেল সরবরাহ থাকবে কি-না এই নিয়ে আমরা দুঃচিন্তায় রয়েছি। তবে সার সংকটের অভিযোগ এখনো উঠেনি।’

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর পতœীতলা জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো: তারিক আজিজ বলেন, ‘উপজেলায় মোট গভীর নলকূপ সংখ্যা ৪শ ৩৯ টি। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ চালিত (এল.এল.পি) ২৫ টি ও সৌর শক্তি (সোলার) চালিত ২৩ টি।’

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর নওগাঁ-২, পতœীতলা অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হারুণ-অর-রশিদ বলেন, ‘এক সময়ের ঠাঁ-ঠাঁ বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে পরিচিত নওগাঁ জেলা। সেচ সুবিধার অভাবে প্রচুর পরিমাণ জমি অনাবাদি থাকতো। এইসব অনাবাদি জমি সেচ সুবিধা দিয়ে ফসল উৎপাদনের আওয়তায় আনা সম্ভব হয়েছে। এতে উপজেলা পর্যায়ে এখন এক ফসলী জমি ৪ ফসলী জমিতে রুপান্তরিত করা হয়েছে।’

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন