ডার্ক মোড
Monday, 20 May 2024
ePaper   
Logo
হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে : বিচারপতি নিজামুল হক

হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে : বিচারপতি নিজামুল হক

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

তৃণমূল পর্যায় এসে ‘সাংবাদিকতার নীতিমালা এবং প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণবিধি’ হাতে কলমে শিখিয়েছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিব। তারা ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা'’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শেখান ও দিক নিদের্শনা দেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ১০ টায় উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দের অংশগ্রহণে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ফারুক আহমদের সভাপতিত্বে এতে রিসোর্স পার্সন ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (অতিরিক্ত সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন, বেতাগী পৌরসভার মেয়র আলহাজ এবিএম গোলাম কবির ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত্ ামাহাবুবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিপূল সিকদার। এ সময় বেতাগী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুল ইসলাম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক মহসিন খান সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

এর উদ্বোধন ও ‘হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে মুল ধারার সাংবাদিকদের করণীয়’ আলোকপাত করেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ও ‘সাংবাদিকতার নীতিমালা এবং প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণবিধি’র উপর বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, ৫ বছরের আগের সাংবাদিকদের ছাড়া এখন থেকে সাংবাদিকতায় গ্র্যাজুয়েশন লাগবে। সাংবাদিকতা করতে যা যা দরকার তা আগে থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে।

তিনি বলেন, এ পেশায় আসতে হলে বেশ পড়াশোনা করতে হয়। পড়াশোনা করে নিজেকে সব সময় সমৃদ্ধ রাখতে হয়। তার সাথে পাঠকদের জন্য শিক্ষনীয় তথ্য উপস্থাপন করাও বর্তমানে মূল ¯্রােতধারার সংবাদকর্মীরা কাজ করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়ছেন। পরিচয় সংকটে ভুগছেন। অপেশাদারিত্ব এবং অপেশাদার প্রতিষ্ঠান গজিয়ে ওঠায় দিন দিন এর সমস্যা বাড়ছে। তাই মূলধারার গণমাধ্যম ও কর্মীদের এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

প্রধান অতিথি আরও বকলেন, সাংবাদিকতা হলো একটি চাকুরির মতো। তিনি শুধু সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে কাজ করতে হবে। অন্যান্য পেশায় যুক্ত থাকলে সঠিক সাংবাদিকতা করা যায় না। সঠিক দায়িত্ব পালনও করা যায় না। আর হলুদ সাংবাদিকতা হলো সত্য-মিথ্যা সংমিশ্রণে সংবাদ প্রকাশ করা। সত্যকে সত্য না বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা না বলা। অনলাইন সাংবাদিকতা হলুদ সাংবাদিকতা সৃষ্টির একটি মাধ্যম।

অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার বলেন, একজন সাংবাদিক সমাজের দর্পণ। আলো ছড়ায়। কিন্তু প্রদীপের নিচের মতো নিজের নিচে অন্ধকার থাকে। এটা কেউ আলোকিত করতে পারে না।

তিনি বলেন, গ্রাম-গঞ্জে সাংবাদিকতার নামে হাতুড়ে সাংবাদিকতা করছেন। তারা হাতুড়ে সাংবাদিক নামে পরিচিত। এই হাতুড়ে সাংবাদিকের সংখ্যা এখন বেড়ে গেছে। কেউ আবার রঙ রস করে সংঘাতিক বলে আখ্যা দেন। এটা হচ্ছে কলংকিত নামধারী সাংবাদিকদের কারণে।

অনেকে মনে করেন সাংবাদিকতার আইডি কার্ড গলায় বা কোমরে ঝুলিয়ে দিলেই সাংবাদিক। কার্ড ঝুলিয়ে সাংবাদিকতা আসল সাংবাদিকতা নয়। আইডি কার্ড হলেই সাংবাদিকতার পর্ব শেষ নয়। সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করার পর হবেন একজন সাংবাদিক।

তিনি আরও বলেন, কতিপয় নামধারী সাংবাদিকেরা মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে উপার্জন করেন। সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি করা, হলুদ সাংবাদিকতা করা, হলুদ সাংবাদিকতা করায় প্রকৃৃত সাংবাদিকতাকে কলংকিত করা। যারা সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি করে, হলুদ সাংবাদিকতা করে, তারা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
শেষে কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারী উপজেলার ৪০ জন গণমাধ্যম কর্মিদের মাঝে অতিথিরা সনদ বিতরণ করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন