ডার্ক মোড
Monday, 20 May 2024
ePaper   
Logo
বিলাসপুরে রাতের আধারে ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট

বিলাসপুরে রাতের আধারে ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্যসহ কয়েকজনের বাড়ীতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিলাসপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: কুদ্দুস বেপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বোমার আঘাতে সৈকত সরদার(১৯) নামে কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক এক যুবক বোমার আঘাতে আহত হয়ে সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এরপর থেকে কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকরা জলিল মাদবরের সমর্থকদের বাড়ীতে ভাঙচুর ও লুটপাটের মত গর্হিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার(৪ মে) দিবাগত রাত ১০টার সময় সারেং কান্দি এলাকায় জলিল মাদবরের সমর্থক ও বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য আউয়াল সারং সহ কয়েকজনের বাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এসময় ইউপি সদস্য আউয়াল সারেংয়ের ৩টি বসতঘর ও পাকা বাথরুম ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও নিজাম সারেং, সালাম সারেং, মোহাম্মদ বেপারীর বাড়ীর বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

ইউপি সদস্য আউয়াল সারেংয়ের স্ত্রী ফরিদা বেগম ও অন্যান্য ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক মামুন সারেং, তোতা সারেং, বাচ্চু সারেং, মুছা সারেং, হারুন, আনিসিদ্দি সারেং ও সাইদুর রহমান সারেং সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে ভাঙচুর করে ও ঘরে থাকা আসবাবপত্রসহ অন্যান্য মালামাল লুট নিয়ে যায়।

এবিষয়ে বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারি বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন আমার লোক আছে। তবে আমি কাউকে বাড়ি ঘর ভাঙতে ও লুটপাট করতে বলি নাই। যদি এই রকম করে থাকে আমি ওসি সাহেবকে বলছি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।

বিষয়টি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কয়েকদিন আগে কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক সংঘর্ষের সময় সৈকত বোমার আঘাতে আহত হওয়ার পরে চিকিৎসাধীন ছিল। এরপর মারা যায়। যদিও সৈকত মারা যাওয়ার মত আহত হয়নি। সৈকত মারা যাওয়ার পর থেকেই কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকরা খুবই বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং আমার সমর্থকদের বাড়ীতে ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। যা এখনো চলমান আছে।

এবিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এঘটনা সম্পর্কে আমার জানা নেই। যদি কেউ অভিযোগ করো তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন