ডার্ক মোড
Wednesday, 23 July 2025
ePaper   
Logo
ট্রাম্পের অভিযোগের বিরুদ্ধে নীরবতা ভাঙলেন ওবামা

ট্রাম্পের অভিযোগের বিরুদ্ধে নীরবতা ভাঙলেন ওবামা

বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর’ আখ্যা দিয়ে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ।

বুধবার (২৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের ‘প্রমাণ তৈরি করে’ ওবামা তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি চালানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ প্রেক্ষিতে ওবামার দপ্তর থেকে এক বিরল বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্টের পদমর্যাদার প্রতি সম্মান রেখে আমরা সাধারণত এ ধরনের অসঙ্গত ও ভুল তথ্যের উত্তর দিই না। কিন্তু এই দাবিগুলো এতটাই অযৌক্তিক যে উত্তর দেওয়া প্রয়োজন। এটি বিভ্রান্তিকর এবং দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর দুর্বল চেষ্টা।’

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি তুলসি গ্যাবার্ড প্রকাশিত ১১ পৃষ্ঠার নথিতে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। গ্যাবার্ড নথিতে ওবামা প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ এনে বিচার বিভাগের কাছে অভিযোগ দায়েরের সুপারিশ করেছিলেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত সপ্তাহে প্রকাশিত নথিতে এমন কিছু নেই যা ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া প্রভাব ফেলতে চেয়েছিল এবং ভোট পরিবর্তন করতে পারেনি—এই ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করে।’

ট্রাম্প এ অভিযোগ করেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়। তিনি বলেন, ‘ওবামাই নেতা ছিল। হিলারি ক্লিনটনসহ অনেকেই ছিল, কিন্তু ওবামা নেতৃত্ব দিয়েছিল। এটি রাষ্ট্রদ্রোহ, এবং কেউ কখনো এমন কিছু কল্পনাও করতে পারেনি।’

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, গ্যাবার্ড তাকে জানিয়েছেন আরও ‘হাজার হাজার নথি’ আসছে।

তবে গ্যাবার্ডের প্রতিবেদনে ভিন্ন ইস্যু গুলিয়ে ফেলে ২০১৭ সালের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাশিয়া ট্রাম্পকে সহায়তা এবং হিলারিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চেয়েছিল। তবে রাশিয়া ভোট গণনার ফলাফলে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি, যদিও ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির তথ্য হ্যাক করে ফাঁস করা হয়েছিল।

২০১৯ সালে রবার্ট মুলারের বিশেষ কৌঁসুলির প্রতিবেদনে এবং ২০২০ সালে মার্কো রুবিওর নেতৃত্বে প্রকাশিত দ্বিদলীয় সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির প্রতিবেদনে এই রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করা হয়।

সাবেক সিআইএ বিশ্লেষক ফালটন আর্মস্ট্রং দ্য গার্ডিয়ানকে জানান, গ্যাবার্ডের নথি ‘একপেশে রাজনৈতিক আক্রমণের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে’ এবং ’অজানা বিভ্রান্তি ও অস্পষ্ট ব্যাখ্যা ব্যবহার করে মিথ্যা বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন