নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর জলঢাকায় জোরপূর্বক জমি দখল এবং থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার প্রতিবাদে বিএনপি উপজেলা সেক্রেটারির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের ইয়াকুব আলী (৩৮ )। মঙ্গলবার বিকালে প্রেসক্লাব জলঢাকার অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ভাগিনা ফেরদৌস আলম, রবিউল ইসলাম, সাজু আহমেদ ও সাব্বির আহমেদ প্রমুখ। ভুক্তভোগী ইয়াকুব আলী লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলে,গত ১৬ই জানুয়ারি একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম কর্তৃক আমিও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা

অভিযোগ ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন। ইয়াকুব আলী বলেন,জলঢাকা বালাগ্রাম ইউনিয়নের সাইটনালা বাজার সংলগ্ন জমি, যার দাগ নং ৩৬৫, খতিয়ান নং ১৫৭ শ্রী বিনোদ চন্দ্র বিহারীর নিকট থেকে গত ২০০৩ সালে খালেকুজ্জামান নামের ব্যক্তি ক্রয় করে এবং তিনি ২০১০ সালে সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন লোকের কাছে পুনরায় বিক্রি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০২২ সালে নতুন দাগ ১৫৪ যার খতিয়ান নং ৪৮৯ সাইফুল ইসলামের নিকট আমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছি। ঘটনার দিন আমি জমিতে নির্মানাধীন কাজ করা ও গাছ কর্তন করার সময় এমদাদুল হক, ওয়াহেদুল ইসলাম, তহিদুল ইসলাম, শাহিন ও রশিদুল ইসলাম আমার নিকট চাঁদা দাবী করেন। তখন আমি উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিষয়টি জানাই এবং তারা বিকাল ৪টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এমদাদুল হক গংদের সঙ্গে কথা বলে মীমাংসার ব্যবস্থা করেন এবং কর্তনকৃত গাছগুলো তৃতীয় পক্ষের নিকট রক্ষিত থাকার মর্মে সমন্বয়করা থানা পুলিশের

সহযোগিতা নেন। কিন্তূ তৃতীয় পক্ষের নিকট গাছগুলো স্থানান্তর করার সময় চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হয়ে সমন্বয়কদের উপর হামলা করেন এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলামকে রাজনৈতিক সাহায্য কামনা করে। ইয়াকুব আলী অভিযোগ করে বলেন, পরবর্তীতে ময়নুল হক সরজমিন তদন্ত না করে এবং ঘটনার সমাধান না করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, আমার পরিবার ও জমির মুল মালিকদের আসামী করে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। ইয়াকুব আলী বলেন, বর্তমানে বিএনপি নেতা ময়নুল ইসলামের করা থানায় মিথ্যা অভিযোগে, হুমকি ও আকস্মিক হামলায় সংকিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ওই ভুক্তভোগী পরিবার।