কুলাউড়ায় কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
কুলাউড়া উপজেলায় এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে সিএনজিচালিত অটোরিকশার একজন চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তাঁকে আটকের পর রাতে কুলাউড়া থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। গ্রেপ্তার অটোরিকশাচালকের নাম মো: ফোরকান আলী (৩৫)।
তিনি কুলাউড়া উপজেলার একিদত্তপুর এলাকার বাসিন্দা। কুলাউড়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি যাত্রী পরিবহনের সময় উপজেলার এক দিনমজুর পরিবারের কিশোরীর সঙ্গে ফুরকানের পরিচয় হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটির সঙ্গে তার বাড়ির সামনের রাস্তায় ফোরকানের দেখা হয়। তিনি কিশোরীকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিজের বাড়িতে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। এরপর রাতে ধর্ষণ করেন।
এতে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে কিশোরীকে গাড়িতে তুলে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নে নিয়ে যান ফোরকান। সেখানে নির্জন স্থানে মেয়েটিকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে তাঁর গাড়ি আটকান। এরপর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ফোরকান ও কিশোরীকে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে কিশোরীর স্বজনেরা থানায় ছুটে যান। রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে ফুরকানকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আলী মাহমুদ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার মেয়েটি খুবই অসুস্থ। তাকে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফোরকানকে ২২ জুন শনিবার মৌলভীবাজারের আদালতে পাঠানো হয়।
