
শেরপুরে বাজার মনিটরিং অভিযানে হোটেলসহ ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরে পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, গুনগত মানহীন পণ্য বিক্রী, মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সহ ভোক্তাদের হয়রানীরোধে বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকিতে নেমেছে জেলা প্রশাসন। এরই অংশ নিয়মিত বাজার মনিটরিংকালে ৮ মার্চ শনিবার দুপুরে শেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র রঘুনাথ বাজার ও মুন্সীবাজার এলাকায় ফলমুলের দোকান, হোটেল-রেস্তোরা ও বেকারী দোকানগুলোতে বাজার তদারকি করা হয়। এসময় নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংক্ষরণ আইন-২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় ভ্রাম্যমান আদালতে ২টি হোটেল, ২টি ফলের দোকান ও একটি বেকারী দোকানকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা বাজার মনিটরিং টিমের কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহমেদ এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব সরকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন মনিটরিং টিমের সদস ক্যাব শেরপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মো. মনিবুল ইসলাম। বাজার মনিটরিং টিমকে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা পুলিশের একটি দল এবং কালেক্টরেট জিএম শাখার সাপোর্ট স্টাফরা।
মনিটরিংকালে শহরের মুন্সীবাজার এলাকার জি-৭ রেস্তোরা ও চাইনীজ হোটেলের রান্নাঘরের ফ্রিজে কাঁচা মাংসের সাথে রান্নাকরা মাংস মজুদ করা, কাচ্চি তৈরীর জন্য ভেজাল ও বাসি মাংস মেয়নেট করে রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মুন্সীবাজার এলাকার মোহাম্মদীয়া বেকারীর দোকানদার মো. মোয়াজকে উৎপাদিত পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীণের তারিখ এবং বিক্রয়মুল্য লেখা না থাকার জন্য ২ হাজার টাকা, রঘুনাথ বাজার এলাকার বিএনপি অফিসের পাশে চাঁন মিয়ার হোটেলে খাবার সংরক্ষণে ত্রæটি ও ঢেকে না রাখায় ৫০০ টাকা এবং মুল্য তালিকা টানানো না থাকার কারণে সত্যবতী সিনেমা হল সংলগ্ন দুই ফল ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়াকে ৩ হাজার টাকা ও সুজন মিয়াকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাজার মনিটরিংকালে টিমের সদস্যরা বাজারের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দোকানে পণ্যের দাম, মান, মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও পণ্যের সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এসময় বাজার দর, ব্যাবসায়িক লাইসেন্স, বিক্রয় মুল্য তালিকা, ক্রয় রশিদ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। রমজান মাসে ভোক্তা সাধারণ যাতে কোনোভাবে প্রতারণার সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেইসাথে হোটেলে মানসম্মত খাবার বিক্রীতে অবহেলা এবং ফলমুলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অবলোকন করে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং যৌক্তিক লাভ বিবেচনায় সহনীয় মূল্যে দ্রব্যমুল্য বিক্রীর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।