ডার্ক মোড
Saturday, 13 September 2025
ePaper   
Logo
রাজশাহীতে ঢলনে জিম্মি আম বিক্রেতারা, প্রশাসন অসহায়

রাজশাহীতে ঢলনে জিম্মি আম বিক্রেতারা, প্রশাসন অসহায়

রকিবুল হাসান রকি (পুঠিয়া) রাজশাহী

রাজশাহীর জেলার সবচেয়ে বড় আমের হাট পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে। এখানে হাট থেকে আম কিনে বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যান পাইকাররা। এই মোকামগুলোতে প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন। দীর্ঘদিন থেকে এই ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে স্থানীয় আমচাষি ও বিক্রেতাদের ঠকাচ্ছে। চক্রটি কয়েক বছর ধরেই ঢলন ও শোলা প্রথার নামে চাষিদের নানাভাবে ঠকাচ্ছে। কিন্তু একাধিকবার সমাধানের জন্য আলোচনা করেও সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরতে পারছে না খোদ প্রশাসনও।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ঢলন প্রথা বাতিল করে কেজি দরে আম কেনা-বেচার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ৪০ কেজিতে মণ ক্রয় করা নির্দেশ দেওয়া হলেও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আড়ৎদাররা আম ক্রয় করছেন ৫০-৫২ কেজিতে মণ হিসেবে। প্রতি মণে ঢলন নেওয়া হচ্ছে ১০ থেকে ১২ কেজি।

গত কয়েকদিন বানেশ্বর হাটে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের বেশির ভাগ ক্রেতা স্থানীয় ফড়িয়া ও আড়ৎদার। হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন। তারা আম কিনছেন মণ ও চুক্তি দুইভাবেই। প্রতি মণে নেওয়া হচ্ছে গড়ে ৫০ থেকে ৫২ কেজি আম। সে হিসাবে বিক্রেতাকে প্রতি মণে ঢলন দিতে হচ্ছে ১০-১২. কেজি। আম চাষিরা বলছেন, বাজারের আম ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁরা একরকম জিম্মি। তাঁরা যেভাবে পারছেন বিক্রেতাদের লুটছেন। প্রতি মণে ঢলন দিতে হচ্ছে ১০-১২ কেজি। জেলা প্রশাসক কেজি দরে আম কেনার নির্দেশ দিলেও কোনো সুফল মিলছে না তারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আম পচনশীল তাই ঢলন নেওয়া হয়। কৃষকের কাছ থেকে আম কেনার পর আম পচে যায়, নষ্ট থাকে, ছোট আম বের হয় আবার পেকে গেলে ওজন কমে যায়। সে কারণে ঢলন নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ, কে, এম, নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, অতিরিক্ত ঢলন নেওয়ার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। আমরা নিয়মিত বানেশ্বর বাজার মনিটরিং করি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন