ডার্ক মোড
Tuesday, 07 October 2025
ePaper   
Logo
রসাটমের সহায়তায় বেলারুশে এডিটিভ প্রযুক্তি কেন্দ্র চালু

রসাটমের সহায়তায় বেলারুশে এডিটিভ প্রযুক্তি কেন্দ্র চালু

 

পাবনা প্রতিনিধি
রসাটমের সহায়তায় রাশিয়ার বাইরে প্রথম এডিটিভ প্রযুক্তি কেন্দ্র চালু হলো বেলারুশে। এটি একটি যৌথ উদ্যোগ যাতে বেলারুশ প্রতিষ্ঠান এইচ—হোল্ডিং এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রসাটম। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের একদল সাংবাদিককে রোসাটম প্রধান কার্যালয়ে এই প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়।
রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এডিটিভ প্রযুক্তি সম্পর্কে বলেন, “এডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং এর মাধ্যমে বিশ্বে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন এক ধারার প্রবর্তন হবে। গতানুগতিক ম্যানুফ্যাকচারিং প্রযুক্তির সঙ্গে এর পার্থক্য হলো থ্রিডি প্রিন্টিং এর ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন জটিল আকৃতির এবং নির্দিষ্ট প্যারামিটারের বিভিন্ন প্রোডাক্ট অতি দ্রম্নত তৈরি করতে পারি। এটি একটি মূল্য সাশ্রয়ী এবং বর্জ্যমুক্ত প্রক্রিয়া”।
তিনি আরো বলেন, “এই এডিটিভ প্রযুক্তি কেন্দে্র যেসকল যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হচ্ছে, তার জন্য আমাদের অন্য কোন দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়নি এবং অর্ধেকের বেশি যন্ত্রপাতি রসাটম নিজেই প্রস্তুত করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, খুব শীঘ্রই এই কেন্দ্রটি বিদেশের বাজারে তার পন্য বিক্রি করতে সমর্থ হবে”।
বর্তমানে রসাটমের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৩টি এজাতীয় কেন্দ্র চালু রয়েছে। এছাড়াও রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরো ৭টি জেনারেল এক্সেস সেন্টার কাজ করছে। এই কেন্দ্রতে অতিরিক্ত যেসকল সুবিধা রয়েছে তার মধ্যে কাস্টিং এর জন্য স্যান্ড—পলিমার মোল্ড প্রিন্টিং মেশিন এবং থ্রিডি স্ক্যানার অন্তর্ভূক্ত। থ্রিডি স্ক্যানিং এবং থ্রিডি প্রিন্টিং এর সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের মডেল অনুযায়ী অনন্য সব প্রোডাক্ট তৈরি সম্ভব, একই সঙ্গে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে।
বেলারুশে প্রতিষ্ঠিত এডিটিভ প্রযুক্তি কেন্দে্র প্রতি বছর বিভিন্ন ধাতুর দেড় টন পর্যন্ত পোডাক্ট, তিন টন পর্যন্ত স্যান্ড—পলিমার মোল্ড এবং ১০০কেজি পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারিং প্লাস্টিক পন্য তৈরি করা সম্ভব হবে। এই কেন্দ্রটিতে এছাড়াও মেটাল প্রিন্টিং এর জন্য ক্ষুদ্রাকার প্রিন্টার নির্মান করা হবে। বর্তমানে মেডিক্যাল শিল্প, বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এডিটিভ প্রযুক্তি বা থ্রিডি প্রিন্টিং একটি প্রক্রিয়া, যেখানে ডিজিটাল নকশা অনুযায়ী ধাপে ধাপে উপাদান যোগ করে বস্তু তৈরি করা হয়। এটি প্রচলিত কৌশলের মতো কঠিন বস্তু কেটে তৈরি না করে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় স্থানে উপাদান প্রয়োগ করে, ফলে অপচয় কম হয় এবং জটিল নকশাও সহজে তৈরি করা যায়। এ প্রযুক্তি বর্তমানে অ্যারোস্পেস, স্বাস্থ্যসেবা ও উৎপাদন শিল্প সহ বিভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন