ডার্ক মোড
Friday, 16 May 2025
ePaper   
Logo
মিরসরাইয়ে শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত  , শতাধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক দু'জন

মিরসরাইয়ে শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত , শতাধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক দু'জন

 

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
 
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ পশ্চিম অলিনগর আমজাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।  প্রায় ১২৫ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র দুইজন শিক্ষক দিয়ে চলছে শ্রেণী কার্যক্রম। তারা হলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইশরাত জাহান ও আরেকজন সহকারী শিক্ষক নাছিমা আক্তার। বেশিরভাগ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাপ্তরিক কাজে বাহিরে থাকতে হয়। ফলে অধিকাংশ সময়েই এক শিক্ষক দিয়ে চলে পাঠদান। ৭ টি পদের বিপরীতে ২ জন শিক্ষক থাকায় শূন্য পদ রয়েছে ৫টি। জানুয়ারিতে একজন সহকারী শিক্ষক অন্যত্র চাকরি হওয়ায় পদত্যাগ করে চলে গেছে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি উপজেলার প্রাচীন বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। অথচ বর্তমানে শিক্ষক সঙ্কটে নাজুক অবস্থা এই প্রতিষ্ঠানের। বিদ্যালয়ে দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বছরের শুরুতে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী ছিল সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে অভিভাবকরা।  গত বছর এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ছিল ১৫৫ জন, এ বছর কমে হয় ১২৫ জন।
 
অভিভাবক নুর আলম বলেন,  দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সঙ্কটে শ্রেণী কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। একই ইউনিয়নের করেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৯ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন অথচ আমাদের গ্ৰামের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেবল ২ জন । শিক্ষক নিয়োগের এই বৈষম্য দূর করতে হবে।
আরেক অভিভাবক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান দিনদিন কমছে। এই পরিস্থিতি হলে আমার বাচ্চাদের অন্যত্র ভর্তি করাবো। একটা বিদ্যালয়ে ২ জন শিক্ষক দিয়ে কিভাবে চলবে।
 
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসরাত জাহান জানান, আমাকে জানুয়ারির মাঝামাঝিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়। সাতজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র দুইজন। তারই প্রেক্ষিতে শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।  কখনো অসুস্থ অথবা কখনো দাপ্তারিক কাজে বাহিরে গেলে অবস্থা আরো বেগতিক হয়ে যায়। আমরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলছি উনি সংকট সমাধানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।
 
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, আমাদের আরো কিছু কিছু বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। ঐ বিদ্যালয়ে একজন নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি জয়েন করেন নাই। আমরা উপরে কথা বলে রেখেছি। নিয়োগ  বদলি প্রক্রিয়া চলছে। এটা শেষ হলে  আমরা ১ জন শিক্ষক হলেও সেখানে ডিপুটেশন দেয়ার চেষ্টা করবো।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন