ডার্ক মোড
Friday, 16 May 2025
ePaper   
Logo
লালমনিরহাটে কালবৈশাখীর তাণ্ডব, লণ্ডভণ্ড শতাধিক বসতবাড়ি

লালমনিরহাটে কালবৈশাখীর তাণ্ডব, লণ্ডভণ্ড শতাধিক বসতবাড়ি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা  ও নানা স্থাপনা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই এলাকায় আঘাত হানে কালবৈশাখী ঝড়।

স্থানীয়দের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ে বসতবাড়ি ও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও উপড়ে পড়েছে কয়েক শ’ বড় গাছ। ঝড়ো বাতাসে আম, লিচু, ভুট্টা, গম ও ধান বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় কালীগঞ্জ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

প্রায় ১ ঘন্টা ধরে চলা ঝড়ে মহাসড়কের ওপর গাছপালা পড়ে যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে। বিশেষ করে কাকিনা-চাপারহাট আঞ্চলিক সড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় যান চলাচলে একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।ি

তুষভাণ্ডার এলাকার শিমুল মিয়া বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে হালকা বাতাস শুরু হয়। এরপর হঠাৎ প্রবল গতির ঝড় আসে। মুহূর্তের মধ্যে আমার বাড়ির আশপাশে ঘরের  ছাউনি উড়ে যায় ও আশপাশের গাছপালা উপড়ে পড়ে।’

কালবৈশাখীতে উপজেলার তুষভাণ্ডার, ভোটমারী ও কাকিনা মদাতি  ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকার কৃষকেরা জানান, ভুট্টা, পাট ও পাকা ধানখেতের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।

তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের বানীনগর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শুরুতে হালকা বাতাস শুরু হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝড়ে আমার পুরো বাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এখন এই ঘর মেরামতের জন্য সরকারের সাহায্য ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।’

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘জেলার তুষভাণ্ডার, মদাতী, কাকিনা ভোটমারীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বেশ কিছু বসতবাড়ি ও উঠতি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সে অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অর্থ ও মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে।’

ঝড়ে কয়েকজন আহত হলেও নিহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন