ডার্ক মোড
Friday, 01 November 2024
ePaper   
Logo
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সাগরে জেলেরা, রয়েছে জলদস্যু আতঙ্ক

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সাগরে জেলেরা, রয়েছে জলদস্যু আতঙ্ক

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

তারিকুল ইসলাম কাজী রাকিব পাথরঘাটা. ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধ শেষে জলদস্যু মুক্ত বঙ্গোপসাগরে বীরদর্পে সমুদ্র চসে বেড়াচ্ছে উপকূলের জেলেরা। তবে উত্তাল সমুদ্র চষে বেড়ানো জেলেদের মধ্যে নতুন করে জলদস্যুদের আতংক বিরাজ করছে। জেলে ও ট্রলার মালিক সমিতির দাবি বিগত কয়েক বছর জলদস্যু মুক্ত বঙ্গোপসাগরে বিচ্ছিন্ন ভাবে দস্যুতা সংঘঠিত হয়েছে। সে কারনে অবরোধের পর সাগরে যাওয়া জেলেদের কাঁদে নতুন করে ভর করেছে জলদস্যু আতঙ্ক।

উপকূলীয় বরগুনা জেলার পাথরঘাটার জেলে দেলোয়ার মাঝি গভীর সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে গিয়ে উত্তাল সমুদ্রে ঢেউ এর সাথে যুদ্ধ করতে করতে অনেকটা পরাস্থ হয়ে পরছেন তিনি। ৬৫ দিন অবরোধ শেষে ফিশিং ট্রলারে লক্ষ লক্ষ টাকার জাল দড়ি রসদ সামগ্রী নিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকার করতে গেলে আবহাওয়ার কোন পূর্ব সতর্কতা সংকেত জারি না থাকলেও দমকা হাওয়ায় উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ের তান্ডবে টিকতে না পেরে দুই খেও দিয়ে কূলে ফিরে আসতে হয়েছে।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ৬৫ দিন অবরোধের পর সামনে আসছে ইলিশ প্রজননের আবার ২২ দিনের অবরোধ। মধ্যের সময়টা বারবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে জেলেদের মধ্যে জলদস্যু আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তিনি জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় অনেক লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর অনেক উৎসাহ নিয়ে সাগরে গেছে জেলেরা। যদি ইলিশ মাছ ধরা পরে তাহলে তারা পিছনের ধার দেনা পরিশোধ করতে পারবে। আর এরমধ্যে যদি জলদস্যুর উৎপাত অথবা দুর্যোগ পূর্ন আবহাওয়া হয় তাহলে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে পারবে না। বর্তমানে যারা সাগরে আছে তারা আতঙ্কের মধ্যে মাছ শিকার করছে।

এবিষয়ে কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোন ভোলা মিডিয়া কর্মকর্তা কে,এম শফিউল কিঞ্জল জানান, সমুদ্র ও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় জলদস্যু মুক্ত রাখতে দক্ষিণ জোন ভোলার অধীনে পাথরঘাটা, নিজামপু, হতিয়া, চরমানিক, চরমুনতাজ সহ উপকূলীয় এলাকার কোষ্টগার্ডের নিয়মিত টহল চলছে। এবং পূর্ব জোন চট্টগ্রাম ও পশ্চিম জোন মোংলা এলাকাতেও টহল রয়েছে। এছাড়াও গভীর বঙ্গোপসাগরে ২৪ ঘন্টা তিনটি জাহাজ টহল দিচ্ছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন