ডার্ক মোড
Tuesday, 18 March 2025
ePaper   
Logo
বান্দরবানে আম বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা

বান্দরবানে আম বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা

সোহেল কান্তি নাথ, বান্দরবান

বান্দরবানের সবুজ পাহাড়ে গাছে গাছে এখন গুটি ও সোনালী মুকুলের সমাহার। আম্রপালি রুপালী রাংগোয়াই সহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী বিদেশী আমের চাষ হয় এ জেলায়। আমের গুনগতমান ও ফলন ভালো হওয়ার জন্য বাগানের বাড়তি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া আম চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও হয় ভাল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবছরও আমের ভাল ফলন হবে বলে আশা চাষীদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমের গুটি ও সোনালী মুকুলে ছেয়ে গেছে সবুজ পাহাড়। সাড়ি সাড়ি লাগানো প্রতিটি আম বাগানের দৃশ্য এখন এটি। পর্যাপ্ত পরিচর্যা পোকা দমনের স্প্রে আগাছা পরিস্কারের মাধ্যমে সোনালী মুকল থেকে ফলে পরিণত হচ্ছে প্রতিটি গাছে। বান্দরবানের রুমা রোয়াছড়ি থানচি সদরসহ জেলার সব সবুজ পাহাড় এখন ছেয়ে গেছে আমের গোটা ও সোনালী মুকুলে। আম্রপালি, রাংগোয়াই, রুপালীসহ দেশী বিদেশী বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয় পাহাড়ী এ জেলায়। তবে পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় আ¤্রপালী আমের ব্যাপক চাষ হয় এ জেলায়। খেতে মিষ্টি আকারে বড় ও দামও ভাল হওয়ায় এখানকার আ¤্রপালী আমের চাহিদা রয়েছে সারা দেশ জুড়ে। খরচ কম হওয়ায় বিক্রি করে লাভবান হন কৃষকরা। মুকুল আসার পর থেকেই বিভিন্ন জেলার পাইকাররা চাষীদের কাছ থেকে বাগান কিনতে ভিড় করেন। মুকুল দেখে এবারও আমের ভাল ফলন হবে বলে আশা কৃষকদের।

বান্দরবান সদরের চিম্বুক পাহাড়ের বসন্ত পাড়া এলাকার বাসিন্দা মেনরত ম্রো বলেন- এ বছর ৫ একর জায়গায় আম্রপালি ও বার্মিজ আমের বাগান করেছি। মুকুলও এসেছে বেশ, কিছু কিছু গাছে মুকুল থেকে ইতোমধ্যে গুটি হয়ে গেছে। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে এ বছর আমের ফলন ভালো হবে এবং দামও ভালো পাবো।

ফারুক পাড়া এলাকার আম চাষী ভানরুন পার বম বলেন- বাগানে স্প্রে করতেছি, যেন ফুল থেকে ফলে পরিণত হয় এবং যাতে আমে পোকা না ধরে। সময় মত বৃষ্টি হলে গত বছরের চেয়ে এ বছর ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি লাভবান হবে বলে জানান এ চাষী।

এদিকে আমে পোকা না আসা ও ফলন ভাল হওয়ার জন্য চাষীদের সব ধরনের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলে জানান বান্দরবান সদর কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুচিং মারমা। তিনি বলেন- মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের আমরা সার্বক্ষনিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। যাতে কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে আম বাগান করতে পারে। কৃষকরা আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী আম বাগানের পরিচর্যা করতেছে এবং আম চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

অন্যদিকে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আমের উৎপাদন গতবারের চেয়ে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয় যাবে বলে জানান বান্দরবান কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক এম এম শাহনেওয়াজ। তিনি আরো বলেন- এ বছর আমাদের গত বছরের চেয়ে জমিও বেড়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যাতে কৃষকরা আম চাষে আগ্রহী হয় এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হতে পারে।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে- চলতি বছর জেলায় ১০ হাজার ৪শ হেক্টর জায়গায় আমের চাষ হয়েছে এবং উপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৮শ মেট্রিক টন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন