ন্যায্যমূল্যে জনগনকে নির্ভেজাল খাবার দিন
মীর আব্দুল আলীম
সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন বিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য। আর খাদ্যের নামে আমরা কি খাচ্ছি প্রতিদিন? বিশুদ্ধ আর ন্যায্য মূলে প্রয়োজনীয় খাবার কি এদেশের মানুষ পাচ্ছে? মানুষরুপী কিছু দানব বাংলাদেশে বিশুদ্ধ খাবার প্রাপ্তি কঠিন করে ফেলছে। সিন্ডিকেটের কারনে অতি মূল্যে প্রয়োজনীয় খাবারও কিনতে পারছে না মানুষ।
খাদ্য প্রাপ্তির ব্যাপারে এদেশের মানুষ যে ভালো নেই তা নিশ্চিত করে বলা যায়। পক্ষান্তরে ভেজালদাতা আর সিন্ডিকেট ওয়ালারা আছে মহা সুখে। দেশের আইন আদালত তাঁদের টিকিটিও ছুঁতে পারে না।
এ ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ নেই বললেই চলে। কঠোর কোন শাস্তির ব্যবস্থা করা না গেলে দেশে ভেজাল সন্ত্রাস আর খাদ্যের সিন্ডিকেট কোনভাবেই বন্ধ করা যাবে না। এসব মানব ঘাতক আর বিকলাঙ্গ মনোভাবাপন্না মানুষদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই? রাষ্ট্রকে ভেজাল খাদ্য রোধে সেসঙ্গে খাদ্যের সহজ এবং ন্যায্যমূল্যে প্রাপ্তির জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে অবিলম্বে। এ জাতিকে বাঁচাতে, সুস্থ্য রাখতে এই মুহুর্তে ভেজালদাতা আর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের জনসমক্ষে কঠিন শাস্তি দেওয়া জরুরী হয়ে পরেছে।
সিন্ডেকেটের কারনে দেশে চাল, চিনি, তেল, পিয়াজের দাম অস্বাভাবিক বাড়েছে। রোজা ২/১ মাস আগেই নতুন করে সব কিছুর দাম বেড়েছে। রোজায় আরো বেড়েছে। কোনটা বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, বাস ভাড়াও বেড়েছে। পণ্যের দাম; রোজায় বাড়ে, ঈদ পুজায় বাড়ে। কারনে বাড়ে, অকারনে বাড়ে। বাড়ি ভাড়া, শিক্ষা, চিকিৎসা খরচ সব কিছুর দামই বাড়ে, কিন্তু এদেশের মানুষের আয় বাড়ে না। কোভিড পরিস্থিতি আর মন্দ ব্যবসায় চাকরি চলে যাওয়া, বেতন কমে যাওয়া সব ধাক্কা পরেছে মধ্যবিত্ত আর গরিবের উপর। পেঁয়াজ, লাউ, বেগুন-মরিচ, আদা-রসুন,তেল-নুন সবকিছুর দামই এখন আকাশ ছোঁয়া। তাহলে গরিবের জীবন চলবে কি করে?
বলতেই হয় গরিব, মধ্যবিত্ত কেউ আর ভালো নেই, সুখে নেই। সম্প্রতি ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘ চাল তেলসহ সকল পণ্যেও দাম উর্দ্ধমুখী : জীবনের চাকা ঘোরাতে পারছে না নিম্ন আয়ের মানুষ’ এমন শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের নানা কথা লেখা আছে প্রতিবেদনটিতে। ‘কেমন আছেন?’ প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে রিক্সা চালক মিজানের সাফ কথা, ‘বালা নাইক্কা’। রিক্সার চাকাতো ভালই চলছে, আমরাও তো ভাড়া ঠিকঠাক মতই দিচ্ছি বলতেই- ছন্দে ছন্দে একদমে রিক্সা চালকের উত্তর- ‘চাল-তেল, আটা-ময়দার দাম আকাশ ছোঁয়া, কী কইরা ঘুরাই জীবনের চাকা।’ সেদিন কঠিন সত্য কথা বললেন- রমনার চা বিক্রেতা সাইফুল। ‘বালা থাহনের কোনো পথই খোলা নাই। পর্তেকদিন চরকির মতন ঘুইরা চা বিক্রি কইরা যা আয় অয় তা দিয়া জীবনের চাকা ঘোরাইতে পারি না ‘ দ্রব্যমূল্য নিয়ে এমন অভিযোগই এখন সবার।
এক দিকে সিন্ডিকেটের কারনে খাদ্যের সহজপ্রাপ্তি কঠিন হয়ে পরেছে। অন্যদিকে ভেজাল খেয়ে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ভেজালকারবারীরা ইতোমধ্যে ২ কোটি মানুষকে কেবল কিডনি রোগে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে অবলীলায়। এর মধ্যে প্রায় ৫০-৬০ হাজার লোক ডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে জীবন ধারণ করছে। ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৫০ হাজার। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা মায়ের শারীরিক জটিলতাসহ গর্ভজাত বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। ক্যান্সারসহ কোননা কোন রোগে আক্রান্ত আর আরও ২ কোটি মানুষ। প্রতিনিয়ত ভেজাল দ্রব্য খেয়ে কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছে বাকি ১৪ কোটি মানুষ। এসব তথ্য জনমনে আতংক তৈরি করে বৈকি!
কেবল ক্যান্সারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিদিন অন্তত ২৭৩ জনের মৃত্যু হয় বলে খোদ তথ্য দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রী এক সেমিনারে বলেন, বাংলাদেশে এখন প্রায় ২০ লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত। প্রতি বছর আরও প্রায় এক থেকে দেড় লাখ মানুষ এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে এই তালিকায়। মৃত্যুও হয় লাখের কাছে। রোজ মারা যায় ২৭৩ জন। ক্যান্সার সম্পর্কিত গ্লোাবোক্যানের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
যার মধ্যে ৯১ হাজারের অধিক মানুষই মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিচালক বলছেন প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যের উদ্ধৃতি বাংলাদেশে ৬০ ভাগ ক্যান্সার রোগী প্রায় ৫ বছরের মধ্যে মারা যায়। দেশে ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর হার বর্তমানে প্রায় ৮ ভাগ এবং এই সংখ্যা ২০৩০ সালে এটি ১৩ ভাগে উন্নীত হবে। দেশের উন্নয়নের কথা শুনছি, হচ্ছেও।
জঙ্গি দমন করেছে সরকার, শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছে, স্বপ্নের পদ্মায় সেতু হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা, বিভাগীয় শহর এমনকি উপজেলা পর্যায়েও ফ্লাইওভার হয়েছে, দেশের বিভিন্ন নদী পথের ফেরি বদলে সেতু হয়েছে, রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। ঘটেছে মানব উন্নয়নও। বলতেই হয় বহি:বিশ্বেও দেশের মর্যাদা বেড়েছে। এতসব কাদের জন্য? এদেশের মানুষের জন্যইতো? দেশের মানুষ সুস্থ্য না থাকলে, বেঁচে না থাকলে এসবে ফায়দা কি?
মানুষকে সুস্থ্য রাখতে সরকার কঠোর হচ্ছে না কেন? এ ব্যাপারেতো রাষ্ট্রের কোন দুর্বলতা থাকার কথা নয়। তাহলে এ জায়গাটাতে সরকারের এতো কার্পণ্যতা কেন? সঠিক মূল্যে বিষমুক্ত খাবার যেন পায় এ জন্য সরকারের ব্যাপক ভুমিকা থাকা চাই। এদেশের মানুষের জন্য খাদ্য প্রাপ্তি সহজ হচ্ছে না কেন? আমরা বিশ^জুড়েই মূল্যস্ফতি চলছে। সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমলেও বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ০২ শতাংশ। যা বছরওয়ারি হিসাবে এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতির চাপে আছে সাধারণ মানুষ। যতটা পণ্যমূল্য হওয়ার কথা তার চেয়ে অনেক বেশি পণ্যম্যূ বেড়েছে বাংলাদেশে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং দেশে ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে আমদানি খরচ বাড়ে, যা মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদেরা। নানা কারন থাকলেও পণ্যের দাম লাফিয়ে বেড়ে ওঠার প্রধান কারন সিন্ডিকেট। সরকারের পক্ষ থেকেও সেটা স্বিকার করা হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রশ্ন হলো সরকার ব্যর্থ হচ্ছে কেন?
অসাধু সিন্ডিকেটের কারসাজিতে প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম বাড়িয়ে ভোক্তাকে নাজেহাল করা হচ্ছে। আবার চাল নিয়ে করা হচ্ছে চালবাজি। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি থেকে শুরু করে সব ধরনের সবজি, আদা-রসুন, মাছ-মাংস, চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাকে জিম্মি করা হচ্ছে। বছরের পর বছর এমন অবস্থা চললেও সরকারের একাধিক সংস্থা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। শুধু হাঁকডাকের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছে।
আমরা জানি, এসব পরিস্থিতি থেকে ভোক্তাকে রক্ষা করতে সরকারের একাধিক বাজার তদারকি সংস্থা কাজ করছে। এর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকি সেল, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কৃষি মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, বিএসটিআই, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, র্যাবসহ সরকারের অন্যসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। এছাড়া এসব সংস্থা নিজস্ব আইনে বাজার তদারকি করছে। তারপরও বাজারে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা আনা সম্ভব হয়নি। তাহলে কি গোড়ায় গলদ? এদেশের সিন্ডিকেটওয়ালারা বড়ই প্রভাবশালী। সরকারের লোকজনেরসাথে তাঁদের সখ্যতা অনেক। তাই হয়তো তাঁদের রোধ করা যায় না কিংব রোধ করা হয় না। এদেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা চাইলে ভোগ্যপণ্যের বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করতে পারে বা পণ্যের সরবরাহ কমাতে পারে। কৌশল করে তারা দাম কমাতে পারে, আবার বাড়াতেও পারে। এখানে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
পুরোপুরি সিন্ডিকেটের কব্জায় চলে গেছে দেশের ভোজ্যতেল, চাল, পিয়াজসহ নিত্য পণ্যের বাজার। ব্যবসায়ীরা একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বাজার থেকে অতিরিক্ত মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। চেষ্টা করলেও কিছুতেই তা সরকার নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছে না। সরকার সংশ্লিষ্টদের হম্বিতম্বি কোনই কাজে আসছে না। শুধু চাল তেল নয় মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, পিয়াজ সব কিছুর দাম এখন উর্দ্ধে। তাতে উচ্চবিত্তদের কোন সমস্যা নেই। মধ্যবিত্ত আর গরিবের হয়েছে যত জ্বালা।
দরিদ্র মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারিত হয়েছে, কম দামের সরকারি চাল ও আটা কিনতে পারছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সরকারি চাকরিজীবীদের অনেকে রেশন পাচ্ছেন। কিন্তু কোনো রকম সুবিধাহীন ঢাকার মধ্য আয়ের মানুষের কষ্ট শুধুই বেড়েছে। গ্রামে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় না থাকায় যানজট, পানিহীনতা, জলাবদ্ধতা, গ্যাস সংকট, লোডশেডিং, ভেজাল খাবারসহ নানা কষ্টের মধ্যেও ঢাকায় পড়ে আছেন তাঁরা।
প্রথম শ্রেণীর সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তার চাকরি যে বেকারদের কাছে ব্যাপক আকর্ষণীয় তা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু বেতনটা মোটেও আকর্ষণীয় নয়। কারণ, বর্তমান আক্রার বাজারে মাসশেষে বেতনের ১৬ হাজার টাকায় অন্তত ঢাকায় সংসার চালানো সম্ভব নয়। তার ওপর বছরশেষে যেখানে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি হয় মাত্র সাড়ে সাত শ টাকার মতো। শতকরা হিসাব করলে দেখা যায়, বছরশেষে প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন পাঁচ শতাংশেরও কম বাড়ে। কিন্তু কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) হিসাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। বাড়তি ব্যায় সামাল দিতে পাছেনা সাধারন আয়ের মানুষ। বাজার করতে গেলে বাড়ি ভাড়া থাকে না, সন্তানের শিক্ষার ব্যায় মিটাতে পারেনা। অনেকে বাধ্য হয়ে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে তা শোধ করতে পারছেন না।
নিম্ন আয়ের মানুষ, যারা রিকশা বা অটোরিকশা চালান, তাঁরা তাদের মতো করে আয় বাড়িয়ে নিচ্ছেন। তবে তারাও ভালো নেই। আয় কমলেও উচ্চ আয়ের মানুষদের সমস্যা হচ্ছে কম। বেশী বিপদে রয়েছেন শুধু সনাতনি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ, যাদের জীবনবোধ ভিন্ন। তাদের মাসিক আয়ের ৬০ ভাগ চলে যায় বাড়িভাড়া, আর ২০ ভাগ খাবারে। দুই বাচ্চার পড়াশোনা আর স্কুলে যাতায়াতে খরচ হয় আয়ের ১০-১৫ ভাগ। তারপর রয়েছে চিকিৎসা।
মানুষের একদিকে বাসস্থান সমস্যা প্রকট, অন্য দিকে মাত্রাতিরিক্ত পণ্যমূল্যে পারিবারিক ব্যয় বহুগুণে বেড়ে যাওয়ায় মহা সংকটে পরেছে। রোগে-শোকে ভুগছে ভেজাল খেয়েও। জনগনের কথা মাথায় রেখে যে কোন মূল্যে পণ্য মূল্যসহ অন্যান্য ব্যয় যাতে কমে সেদিকে সরকারের নজরদারীর বিকল্প নেই। সরকারের কার্যকর পদক্ষেপই পারে এ ক্ষেত্রে সফলতা এনে দিতে। বাজার তদারকিসহ সকল ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলো সদাই সজাগ থাকতে হবে।
লেখক, সাংবাদিক, সমাজ গবেষক, মহাসচিব-কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ।