
দোহারে ডাকাতের হামলায় গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৩
দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার দোহার উপজেলায় গভীর রাতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা মাইকে প্রচার হলে ডাকাতদল ধরতে গেলে স্থানীয় ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ মোট ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
গত বুধবার রাতে উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চর-কুতুবপুর গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ নিলুয়ার হোসেনের বাড়িতে ডাকাতি শেষে পলায়নকালে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ধাওয়া করে ডাকাত দলের এক সদস্যকে আটক করে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছেন জনতা।
আটক ডাকাত সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার জবতলা গ্রামের আ.মতিন মোল্লার ছেলে মো.সাহেব আলী(৪৪)। সে বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাকাতের হামলায় আহতরা হলেন- উপজেলার দেবীনগর গ্রামের সোহেল ভান্ডারী(৪৫),নাঈম মিয়া(২২), মো. বাবুল শেখ((৪৬),বিলাসপুর গ্রামের মো. মাসুদ(২০),নুর মোহাম্মদ(২০),মো.রবিন(৩২),বায়েজিদ হোসেন(২৩),ফিরোজ বেপারী(৪৮),চান মিয়া(৫০),বাবু শেখ(২৯),রিয়াজুল ইসলাম(৩৭), মো. সাহেব আলী ও সজিব(২০)।
বাড়ির মালিক জয়পাড়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ নিলুয়ার হোসেন জানান, রাত আনুমানিক ২টার দিকে লোহার গেইট ভেঙ্গে ১৫/২০ জনের একটি ডাকাত দল বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময়ে আমার পিতা শেখ আব্দুর রশিদ(৬৭),মা হেলেনা বেগম(৫৫)কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মা’র ব্যবহৃত সাড়ে ৮ভড়ি সোনা গহনা, মোবাইল ফোন ও নগদ সাড়ে পাচঁ হাজার টাকা লুটে নেয়। এ সময়ে পরিবারের আর্তচিৎকারে ও ঘটনার শব্দ পেয়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে আমি ও আমার ছোট ভাই ওমর ফারুক(২৬)ডাক-চিৎকার শুরু করি। ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী লাঠি-সোঠা নিয়ে ডাকাতদের প্রতিরোধের চেষ্ঠাকালে মুখোশ পরিহিত ডাকাতেরা তখন গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে এলাপাথারী গুলি ছুঁড়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এতে অনেকে আহত হয়। পরে গ্রামবাসীর প্রতিরোধে ডাকাতরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। নিলুয়ার আরও বলেন, ডাকাত দল একটি ইঞ্জিন চালিত ট্র্রলার যোগে তাঁদের বাড়ির পিছনে পদ্মা নদীর ঘাটে আসে। এরপর তাঁদের বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাতদের ট্র্র্রলারটিও আটক করা হয়।
বাড়ির মালিক ওমর ফারুক জানান,রাতেই ডাকাতের হামলায় আহতদের দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা অবনতি হলে তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বাকিরা এখানেই চিকিৎসা নেয়। রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেন। এ সময়ে গ্রামবাসীর হাতে আটক এক ডাকাতকে থানায় নিয়ে যান।
গুলিবিদ্ধ বায়েজিদ হোসেন বলেন, তাঁর শরীরে প্রায় ১০টা রাবার বুলেট লেগেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন। দোহার থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, রাতে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক এক জনকে পাওয়া গেছে। ডাকাতের হামলা করা বেশকিছু গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। বাদীর অভিযোগ পেলেই মামলা রুজু করা হবে।
দোহার সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম বলেন, খবর পেয়েই দোহার থানা ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। এঘটনায় ডাকাত একজনকে আটক করা হয়েছে। ম‚লত ঐ ব্যক্তি এঘটনার সাথে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।