দোহারের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার দোহার উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।নিরাপত্তায় নেতাকর্মিদের বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখতে নির্দেশ রয়েছে ঢাকা জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের।
বুধবার সরকারি জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজনে গুনিজনের বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে পৌরসভা বিএনপি’র সভাপতি ও জয়পাড়া বহুমূখী বনিক সমিতির সাবেক সভাপতি এস.এম কুদ্দুস মিয়া’ একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, উপজেলার ও পৌরসভার ঘরবাড়ি,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,যানবাহন,শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান,সংখ্যালঘু পরিবারের ধর্মীয় মন্দিরসহ যে কোন স্থাপনা ভাংচুর-লুটের ঘটনা বরদাশত করা হবে না।প্রয়োজনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্দির ও তাদের বাড়িঘর নিরাপত্তার স্বার্থে সার্বক্ষনিক পাহাড়া দিতে হবে। পাশাপাশি দোহার উপজেলার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের দিকে সতর্ক থাকতে হবে।যাতে কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের পরিকল্পনায় সহিংস ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মির ওপর দোষারোপ করতে না পারে। সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে আহবান জানান তিনি।
গুনিজনের বিশেষ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন দোহার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মেছের।আরও উপস্থিতি ছিলেন পৌরসভা বিএনপি’র সাধারন-সম্পাদক মহসীন উদ্দিন খান মাসুম,বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এস এম খালেক প্রমুখ।
পরে জয়পাড়া বাজার এলাকায় ব্যবসায়ী মহলে ও প্রতিটি দোকানে গিয়ে আতংকিত না হওয়ার জন্য অভয়বানী দেন। এসময়ে জয়পাড়া বাজারের সকল ব্যবসায়ীবৃন্দরা উপস্থিতি ছিলেন।
উল্লেখ্য সরকারি জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, দোহার উপজেলার মালিকান্দা স্কুল এন্ড কলেজ ও ইসলামাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির পরিচালনা কমিটিতে অযাচিত স্বার্থান্বেষী মহলের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষকরা আতংকিত রয়েছেন। কারন হিসেবে জানা যায়, এই তিনটি প্রতিষ্ঠানসহ আরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামীলীগের দখলে ছিলো।