
দেশব্যাপী ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে পিরোজপুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা
পিরোজপুর প্রতিনিধি
সারা দেশে ধর্ষণ, হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে পিরোজপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় কলেজের শিক্ষার্থীরা এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি নিরাপত্তার দাবিতে আওয়াজ তোলেন। সোমবার (১০ মার্চ) সকাল ১১ টায় পিরোজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পুরাতন বাস স্ট্যান্ড গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ছাত্রপ্রতিনিধিরা তাদের ক্ষোভ ও দাবি পেশ করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী জান্নাত রশ্নি, আফরোজা তুলি, মোনালিসা প্রমুখ। বক্তারা এ সময়, গত কয়েকদিনে মাগুরাসহ দেশেজুড়ে নারী ও শিশুদের প্রতি নৃশংসতা ও হত্যা সংগঠিত হয়েছে এহেনো পরিস্থিতিতে নারী ও শিশু ধর্ষন অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করনে।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থী মোনালিসা বলেন, "আজকের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুধুমাত্র পিরোজপুরের জন্য নয়, বরং সারাদেশের সকল নারীর নিরাপত্তার দাবি। আমরা চাই ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।"
সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যথেকে আফরোজা তুলি বলেন," আমাদের কথা সহজ, হয় ধর্ষকদের ফাঁসি দিন নয়ত আমাদের হাতে ধর্ষকদের ছেড়ে দিন আর তাও না পারলে আপনারা ক্ষমতা ছেড়ে দিন।
স্থানীয় কলেজ ছাত্র মাহমুদ হাসান উল্লেখ করেন, "এসব ঘটনা আমাদের সমাজের মুখে কালিমা। আমরা আশা করি সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত ও বিচারের ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে অপরাধীরা নির্ভয়ে কাজ করতে না পারে।"
শিক্ষার্থী জান্নাত রশ্নি বলেন, মাগুরায় একটি ছোট্ট শিশু আসিয়াকে ধর্ষণের ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য লজ্জাজনক। আসিয়া আমাদের সকলের ছোট বোন। সেই ছোট্ট আসিয়াকে তারই নিকট আত্মীয়রা নরপশুর মতো ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে। আমরা এই ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই যাতে পরবর্তীতে আর কেউ ধর্ষণের সাহস না করে।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান তুলে ধরেন, যেমন, "আমি কে ? তুমি কে ? আছিয়া আছিয়া।", " we want Justice, No more rapist ", "একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা বিচার কর ",আমার বোনের কান্না, আর না আর না","ফাঁসি ফাঁসি,ফাঁসি চাই" ধর্ষকের ফাঁসি চাই ","ধর্ষকের ঠিকানা, এই বাংলাদেশে হবে না" শ্লোগানে মুখরিত হয় পিরোজপুরের চারিপাশ, যতদিন পর্যন্ত ধর্ষকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হয় ততদিন রাজপথে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে যে, ধর্ষণ ও হত্যার বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের জন্য একত্র হয়ে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।