জুড়ীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি পানি বন্দী লক্ষাধিক মানুষ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
অকাল বন্যায় প্লাবিত মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার অনেকগুলো গ্রাম।আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন ২৯৮০ পরিবারের প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ। উপজেলার বেলাগাও, দিঘলবাক, শাহপুর, প্রহল্লাদপুর, হেকিমপুর সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার মানুষের ঘরে কোমর পর্যন্ত পানি, বাড়ির বেশির ভাগ লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয় কেন্দ্রে। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছে প্রশাসন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। তবে অতীতে যেভাবে অসহায় মানুষের পাশে যেভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন কিংবা ব্যক্তি সহযোগিতা ছিল বর্তমানে তা কম দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা জানান, প্রথমে ৮টি আশ্রয় কেন্দ্র ছিল, বন্যা পরিস্থিতি বাড়ার কারনে বর্তমানে ২২টি আশ্রয় কেন্দ্র ছিল, আজ মঙ্গলবার আরও ২টি আশ্রয় কেন্দ্র যোগ করে মোট ২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু আছে।
আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ২৯৮০টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ৩৬ হাজার ৪০০ জনের মত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। তিনি স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে নৌকা যোগে প্রত্যন্ত অঞ্চলে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বিতরন করছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে ত্রান সামগ্রী বিতরনের পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য ও দিতে দেখা যায় তাকে।
পাশাপাশি জাতীয় পার্টির নেতা এমএ মালিক সাচ্চুর পক্ষ থেকে গত দুইদিন কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে খাদ্য প্রদান করা হয়। পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের সদস্য জাহেদ হোসেন তাজিনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রের প্রায় ৫০০ মানুষের জন্য এক সপ্তাহের খাদ্য সহায়তার অংশ হিসেবে ২ দিন থেকে বিতরন অব্যাহত রেখেছেন।
পিডিবির পাওয়ার সাব স্টেশনে পানি থাকার কারনে চারদিন থেকে বিদ্যুৎহীন উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ। প্রায় ৭২ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকার পর কুলাউড়া পাওয়ার সাব স্টেশন থেকে জুড়ী বাজারে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েছে পিডিবি। তবে এখন ও অন্ধকারে উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ। চিরা, মোমবাতি, আলু, মুড়ির সংকট দেখা দিয়েছে জুড়ীর দোকানগুলোতে। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে মোমবাতি বাড়তি দাম দিয়ে বিক্রি করছেন দোকানদাররা। উপজেলার বেশির ভাগ রাস্তায় সিএনজি, মোটর সাইকেলে চলাচল করতে না পারায় ট্রাকে করে চলাচল করছেন মানুষ।