সিলেটে খাল পরিষ্কার ও মশক নিধন কর্মসূচিরউদ্বোধন
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, সিলেট
সিলেটে গাভিয়ার খাল পরিষ্কারকরণ ও মশক নিধন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী পৃথকভাবে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। সকালে নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের কানিশাইলে গাভিয়ার খাল পরিষ্কারকরণ এবং হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে মশক নিধন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খান মোঃ রেজা-উন-নবী বলেন, আমরা নগরবাসীর সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে চাই। মশার উপদ্রব বিশেষ করে ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে মশক নিধন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এছাড়া জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় আমরা গাভিয়ার খাল পরিষ্কারকরণ ও খনন কার্যক্রম শুরু করেছি। পাইলট প্রকল্প হিসেবে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। কর্মসূচি সফল হলে একই পদ্ধতিতে নগরীর অন্যান্য ছড়া-খালও পরিষ্কার ও খনন করা হবে।
এ ব্যাপারে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া সুন্দর নগর গড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। নগর সুন্দর রাখতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে নির্ধারিত স্থানে ফেলার অনুরোধ জানান তিনি। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও অনুরোধ করেন তিনি।
কর্মসূচি উদ্বোধনকালে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, সবার সহযোগিতায় আমরা একটি সুন্দর নগর গড়তে চাই। নগরবাসী যাতে জলাবদ্ধতার কবলে না পড়েন সেই লক্ষ্যে আমরা ছড়া-খাল সংস্কার ও খনন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, নগরবাসীকে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে তিন মাসব্যাপী মশক নিধন কর্মসূচি চলবে। ১০টি করে ওয়ার্ড নির্ধারণ করে ৪২টি ওয়ার্ডে মশার লার্ভা ধ্বংসে লার্ভিসাইড স্প্রে করা হবে। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ মশা নিধনে এডাল্টিসাইড ফগিং করা হবে।
প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ একলিম আবদীন জানান, ঘনবসতির কারণে নগরীর বেশিরভাগ ছড়া পরিষ্কার করতে এখন যন্ত্র ব্যবহার করা যায় না। তাই শ্রমিক দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে গাভিয়ার খালের ৩৬০ মিটার পরিষ্কার ও খননে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচি সফল হলে খালের বাকি অংশ এবং অন্যান্য খাল একই পদ্ধতিতে পরিষ্কার ও খনন করা হবে।
কর্মসূচি উদ্বোধনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, জনসংযোগ কর্মকর্তা নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ প্রমুখ।