মাদারীপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি স্থানান্তর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রকল্পটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রকল্পটি শিবচরের কুতুবপুর থেকে রাজধানীর পূর্বাচলে স্থানান্তর করার এমন সিদ্ধান্তের কথা শুনে ফুসে উঠেছে শিবচরের সর্বস্তরের মানুষ। প্রকল্পটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর)দুপুর ১২টায় উপজেলা অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করেন হাজী শরিয়তউল্লাহ (রাঃ)-এর ৭ম পুরুষ হাফেজ মাওলানা হানজালার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রকল্পটি আমাদের শিবচরে নির্মাণকাজ চলমান। এরই মধ্যে প্রায় ২৪৮কোটি টাকা ব্যয় হয়ে গেছে এই খাতে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আশায় অনেকে বিঘায় বিঘায় জমি দিয়েছেন। সবাই স্বপ্ন দেখছেন এখানে একটি মেগা প্রকল্প হবে। কিন্তু শুধুমাত্র সয়েল টেস্টে ত্রুটির মিথ্যা অযুহাত দেখিয়ে এই প্রকল্পটি এখান থেকে স্থানান্তর করে পূর্বাচলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আমরা এর প্রতিবাদ জানাই, সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিবচর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী মোঃ ছাইদুজ্জামান নাসিম। প্রয়োজনে পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থান কর্মসূচী দেবো, প্রয়োজনে আমরা প্রাণ দিবো তবুও এই প্রকল্প এখান থেকে কিছুতেই সরাতে দেবো না। প্রকল্পটির সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের ১০দিনের আলটিমেটাম দেয়া হলো, এই হঠকারিতা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে। আর না হয় আমরা দূর্বার আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবো।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ের পাশে শিবচরের কুতুবপুরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় ৭০একর জমির উপর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১হাজার ৫শত কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ২৪৮কোটি টাকা কাজের জন্য ব্যয় হয়। জমি অধিগ্রহন করে বিদুৎ সংযোগ, মাটি ভরাট ও পাইলিং-এর কাজও করা হয়। প্রকল্পে জমিদাতা বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকাও প্রদান করাও হয়েছে।