ডার্ক মোড
Thursday, 23 January 2025
ePaper   
Logo
মুন্সীগঞ্জে খালের মাটি যাচ্ছে চেয়ারমানের ইটভাটায়

মুন্সীগঞ্জে খালের মাটি যাচ্ছে চেয়ারমানের ইটভাটায়

মো. মাসুদ খান, মুন্সীগঞ্জ

মন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুলে পদ্মা নদীর তীরবর্তী দৃশ্যমান খালের মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে। ভেক্যু (স্ক্যাভেটর) মেশিন দিয়ে মাটি কেটে মাহিন্দ্র ট্রলিতে করে এসব মাটি নেওয়া হচ্ছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ইটের ভাটায়। ভাগ্যকল ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাতের বিরুদ্ধে এই মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ দিকে পদ্মার শাখা খাল হিসেবে পরিচিত জায়গায় বাধ দিয়ে মাটি ভর্তি ট্রলি আনার রাস্তা করা হয়েছে। তার পাশেই ভেক্যু মেশিন দিয়ে গভীর করে মাটি কাটতে দেখা গেছে। অপরদিকে ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের মূল ফটকের রাস্তা ব্যবহার করে মাটি ভর্তি ট্রলিগুলো চলাচল করছে। এতে ধূলোবালিতে নাকাল হচ্ছে আশপাশের বসত বাড়িঘর। অন্যদিকে মাটির ট্রলির ওভারলোডিংয়ে গুরুত্বপর্ণ সব সড়ক নষ্ট হচ্ছে। স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ছেন পথচারীরা। এসব দেখার যেন কেউই নেই!

এ বিষয়ে উপস্খিত এক ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যানের লোক হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি দম্ভ করে বলেন, সবাই আমকে চিনে, আমার নাম আনোয়ার হোসেন। শাহাদাত চেয়ারম্যান এখানে তার নিজের জায়গার মাটি কাটছেন। কিছু জানার থাকলে তার সাথে কথা বলেন। স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদাত চেয়ারম্যান প্রভাশালী হওয়ায় তার বিষয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। এখানে মালিকানা জায়গার কথা বলে মাটি কাটা হচ্ছে। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে সাধারণ মানুষের আর কিবাই করার থাকে। পদ্মা নদীর তীরবর্তী পানি প্রবাহের দৃশ্যমান খাল কিংবা চরের জমি (সিকস্তি ভূমি) কিভাবে মালিকানা সম্পত্তি হতে পারে? প্রশ্ন সচেতন মহলের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, নতুন বাজার এলাকায় চেয়ারম্যানের নিজস্ব ইটের ভাটার পাশাপাশি অন্য জায়গায়ও এসব মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগে ইটের ভাটায় অনিয়মের কারণে ভ্রম্যমাণ আদালতের অভিযানে আর্থিক জরিমানাও করা হয়। সড়কে একটি ট্রলি চালকের সাথে কথা হলে ওই ট্রলি চালক জানায়, বালুযুক্ত মাটি অন্যত্র বিক্রি হচ্ছে। আঠালো মাটি ইট ভাটায় যাচ্ছে।

ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাতের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দাবী করেন জায়গাটি তার মালিকানা। নিজের ইট তৈরির জন্য এখানে মাটি রাখা হয়েছিল। তাই মাটি কেটে ইট ভাটায় নেওয়া হচ্ছে। নদী গর্ভে বিলিন হওয়া সকস্তি জায়গার মালিকানার প্রশ্নে তিনি বলেন, বেকর্ড বলে আমি জায়গার মালিক। খাজনাও পরিশোধ করছি। স্থানীয় ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. মাহফুজের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ করেননি।

শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জোবায়ের হাবিব জানান, জায়গার কাগজপত্র থাকতে পারে এটা আলাদা বিষয়। যাচাই বাছাই করে দেখতে হবে। তারপরও চরের মাটি কেটে ইট ভাটায় নেওয়া অন্যায়। এ বিষয়ে জানতে পারলাম। খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন