ছাত্ররা জানতেনই না তাদের বাড়ির নিচতলাতেই থাকেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। ওই এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতে মেস ভাড়া দেওয়া হয়। সুব্রতকে যে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায়ও মেস রয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী থাকেন।
বাড়িটির সামনে পৌরসভার একটি সাইনবোর্ড দেখা যায়, যেখানে বাড়ির মালিকের নাম লেখা মীর মহিউদ্দিন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মীর মহিউদ্দিন অনেক আগেই মারা গেছেন। তাসজিদ নামের এক ছাত্র মেসটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। তিনিও ওই মেসেই থাকতেন।
মেসের ছাত্ররা জানান, বাড়িটির নিচতলা হেলাল উদ্দিন নামের এক প্রতিবেশি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি কয়েকদিন আগে অতিথি হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তিকে রেখে যান। তবে অতিথি হিসেবে থাকা ওই লোকের সঙ্গে খুব একটা দেখা হতো না তাদের।
ছাত্ররা আরও জানান, নিচতলায় যে এক শীর্ষ সন্ত্রাসী ভাড়া ছিল তারা কেউই সেটি বুঝতে পারেননি। একই বাড়িতে থাকলেও তাদের সঙ্গে দেখা হতো না বললেই চলে।
মেসের শাহীন নামের এক ছাত্র বলেন, সুব্রত বাইন কখনো বেরই হতেন না। তবে দুই থেকে তিন দিন আমি মোল্লা মাসুদকে (আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী) মেসের নিচে লুঙ্গি-গামছা শুকাতে দিতে দেখেছি। তবে তারা ধরা পড়ার পর থেকে প্রতিবেশি হেলালের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, হেলালের দেশের বাইরে যাওয়ার কথা শুনেছিলেন তারা।
