ডার্ক মোড
Saturday, 04 May 2024
ePaper   
Logo
সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা চুরি, আটক ১৪

সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা চুরি, আটক ১৪

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা বিনষ্ট ও চুরির ঘটনায় ১৪ জেলে ও মাঝিকে আটক করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে চুরির ঘটনায় ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার আদালতে দায়ের করা দুটি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে (১৬ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতার হওয়া জেলে ও মাঝিরা হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও খুলনার কয়রার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, মহিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, বাবর আলী, আমজাদ হোসেন (২), ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন।

জানা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে বাঘ গণনার কাজ। যা এখনএ চলমান রয়েছে। বাঘ গণনার জন্য সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্রাপিং গ্রুপ সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করছে। এর ভিতরে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও নোটাবেঁকী অভায়ারন্য অঞ্চলে স্থাপিত ৮টি ক্যামেরা চুরি হয়ে যায়।

সুন্দরবনের বন বিভাগের কর্মকর্তারা চুরির বিষয়টি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বুঝতে পারেন। অনুসন্ধান করে সুন্দরবনের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে ৮টি ক্যামেরা চুরি হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। এবং সে অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সুন্দরবনের দুইটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ।

এদিকে ক্যামেরা চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার রিপনের বাবা আমির হোসেন বলেন, তার ছেলে অন্যদের সঙ্গে অভয়ারণ্যে গিয়ে মাছ ধরার অপরাধে আটক করে ভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, যারা সুন্দরবনে বাঘ–হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ক্যামেরা তারাই অপসারণ করতে পারে। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের আটক করতে ব্যর্থ হয়ে বন বিভাগ নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসিএফ ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ক্যামেরা চুরি ঘটনায় গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এসিএফ আরও বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে যারা নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে কিংবাা অপতৎপরতায় জড়িত তারাই এসব ক্যামেরা সরিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা হোক সবাইকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।

ক্যামেরা চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য বন বিভাগের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন