ডার্ক মোড
Saturday, 18 May 2024
ePaper   
Logo
পাথরঘাটায় সাত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

পাথরঘাটায় সাত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

বরগুনা প্রতিনিধি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে বরগুনার পাথরঘাটার সাত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বুধবার সকাল ১০টায় শহরের শেখ রাসেল স্কয়ারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধন ও সমাবেশ স্থানীয় সাংবাদিক, আইনজীবী, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার অর্ধশতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন। পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মির্জা শহিদুল ইসলাম, দৈনিক সংবাদের জাফর ইকবাল, পাথরঘাটা কলেজের অধ্যাপক আমিনুল হক, কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম মোল্লা, আইনজীবী নাসির উদ্দিন, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের শফিকুল ইসলাম, দৈনিক মানবজমিনের জাকির হোসেন খান, দৈনিক ভোরের কাগজের অমল তালুকদার প্রমুখ।

পৃথক চারটি মামলার আসামিরা হলেন স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেশ দর্পণ ও দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনের পাথরঘাটা প্রতিনিধি মো. জিয়াউল ইসলাম; আরটিভির পাথরঘাটা প্রতিনিধি তাওহীদুল ইসলাম; স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাথরঘাটা নিউজ ও দৈনিক আজকের পত্রিকার পাথরঘাটা প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম ওরফে কাজী রাকিব; স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ২৪ ঘণ্টা নিউজ ও মোহনা টিভির পাথরঘাটা প্রতিনিধি সুমন মোল্লা; দৈনিক কালবেলার পাথরঘাটা প্রতিনিধি আল আমিন ওরফে ফোরকান; দৈনিক সংবাদের পাথরঘাটা প্রতিনিধি মো. জাফর ইকবাল এবং দৈনিক মানবজমিনের পাথরঘাটা প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন খান। এই সাত সাংবাদিক ছাড়া চারটি মামলায় অপর ২১ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

বক্তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সাংবাদিকদের দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে। যার খেসারত হিসেবে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে পৃথক চারটি মামলায় পাথরঘাটার সাত সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। তবে ওই চারটি মামলা সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাই সাংবাদিকদের নামে চারটি মামলা প্রত্যাহার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, ট্রাইব্যুনাল থেকে থানায় তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। সে ক্ষেত্রে আইনের আলোকে বাস্তবতার নিরিখে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। যা যথাসময়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি বাদীর ওপর নির্ভর করে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন