ডার্ক মোড
Friday, 10 May 2024
ePaper   
Logo
সরিষাবাড়ীতে হুমকিদাতা দুই আ. লীগ নেতা গ্রেফতার

সরিষাবাড়ীতে হুমকিদাতা দুই আ. লীগ নেতা গ্রেফতার

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকলে হাত, দাঁত ও চাপার হাড্ডি ভেঙে যমুনা নদীতে নিক্ষেপের হুমকির অভিযোগে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে প্রশাসন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

হুমকিদাতা দুইজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে শনিবার সকালে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর দুপুর ১২.৪৫টার দিকে পুলিশ উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও সুজাত আলী অর্ণাস কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাইদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং পিংনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়কে গ্রেপ্তার করে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের (আনারস) নির্বাচনী পথসভায় অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান প্রতিপক্ষের লোকদের হুশিয়ার করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদের জবান আমরা বন্ধ করে দেবো। আমরা অন্য কোনো মার্কার কোনো এজেন্ট দিতে দেবো না। সাবধান হয়ে যান, আমাদের মাঝে অসন্তোষ ও হানাহানির চেষ্টা করবেন না। আপনাদের দাঁত ভেঙে দেওয়া হবে। যাদের দাঁত নেই, তাদের চাপার হাড্ডি ভেঙে দেওয়া হবে।

একই অনুষ্ঠানে পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয় বলেন, অন্য কোনো মার্কার এজেন্ট কোনো কেন্দ্রে দিতে দেবো না। এজেন্ট দিলে তার হাত বাড়ি দিয়ে ভেঙে আমরা যমুনা নদীতে নিক্ষেপ করবো। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে তাদের আটকের বিষয়টি উল্লেখ করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে দুইজন কর্মী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উস্কানিমূলক ও হুমকিস্বরূপ।

যা ২০১৬ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ এর বিভিন্ন বিধান অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। একইসাথে হুমকিদাতা দুইজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন