ডার্ক মোড
Friday, 18 October 2024
ePaper   
Logo
রূপগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে শ্রাবণ বাহিনীর প্রধানসহ গ্রেপ্তার

রূপগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে শ্রাবণ বাহিনীর প্রধানসহ গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ শ্রাবণ বাহিনীর প্রধান শ্রাবণসহ ৪ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় ডাকাতিতে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রসহ-সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার তারাব দক্ষিণপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, তারাব পৌরসভার দক্ষিণপাড়া এলাকার মাসুদ ভুঁইয়ার ছেলে শ্রাবন, রহিম প্রধানের ছেলে সিয়াম প্রধান, সোহেল ভুইয়ার ছেলে শাহেদ ভুইয়া, রফিকের ছেলে বিজয়।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলী জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায় তারাব পৌরসভার তারাব বাজার এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল শ্রাবণ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা হয়।

এ সময় শ্রাবণ বাহিনীর প্রধান শ্রাবণসহ ওই চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা হিরণের সেল্টার মদনপুরে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারিরা বহাল তবিয়তে

নারায়ণগন্জ জেলার বন্দর উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মদনপুর এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র- জনতার উপর হামলাকারিরা এখন বহাল তবিয়তে। বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজাহারুল ইসলাম হিরণের সেল্টারে হামলাকারিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। ভয়ে মামলা করতে পারছেনা আহত এক শিক্ষার্থীর পরিবার।

গত গত ৪ আগস্ট দুপুরে কেওঢালা ও মদনপুর এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা এমএ সালাম চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ ও আমিরের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলিবর্ষণে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছিল কমপক্ষে ৩০ জন । গুলিবিদ্ধ এক শিক্ষার্থীর নাম আল আমিন (১৭)। সে মনদপুর রিয়াজুল উলুম আলিম মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষ এর ছাত্র। তার পিতার নাম শাহ আলম গাজী, মদনপুর ইউনিয়নের চানপুর এলাকার হালিম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।

আহত শিক্ষার্থী আল আমিন জানান, গত ৪ আগস্ট সকাল ১০টা থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড ফুটওভার ব্রিজের নিচে অবস্থান করেছিলাম আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে একটি মিছিল নিয়ে মহাসড়কের কেওঢালা বেঙ্গল বিস্কুট ফ্যাক্টরির সামনে পৌঁছাই। এ সময় মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমএ সালাম ও ছাত্রলীগ অহিদের নেতৃত্বে কয়েকশ’ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা ও প্রকাশ্যে গুলি ছুঁড়ে।

এ সময় আমিসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হই, আহত হয় বহু লোক। আহতদের স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই স্বৈরাচারের দোসর হামলাকারীরা এখন বিএনপির নেতাদের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় হামলাকারিদের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর ছালাম চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ, আজমীর ওসমানের সহযোগী আমির সহ ছাত্র- জনতার উপর হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের ছাত্র ছায়ায় বিএনপি কর্মী বনে গিয়ে মাঠে অবস্থান নিয়েছে।

বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদের ছোট ভাই মুছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, মদনপুর ইউপির ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য আক্তার হোসেন মোল্লা, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য সাদেকুর রহমান, সন্ত্রাসী রুবেল, আমির হোসেন, অহিদের সহযোগী বাবুল, ধামগড় ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা বুলবুল সহ আরো একাধিক অপরাধী এখন বিএনপি’র লোক হয়ে গেছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন