মৌলভীবাজার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
বন্যার পানি উঁচু এলাকা থেকে নেমে যাওয়ার অনেকেই বাড়ি ফিরছেন। অনেক স্থানে বন্যার পানির তোরে ভেঙ্গে যাওয়া ঘর মেরামত শুরু করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। নিম্নাঞ্চল থেকে ধীরগতিতে পানি কমতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌলভীবাজার জেলার ৪টি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। মনু, ধলাই ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার নিচদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে জুড়ী নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ইতোমধ্যে মনু নদীর ৩টি স্থানে এক্সোভেটর দিয়ে ভাঙ্গন মেরামতের কাজ চলছে। সরকারি ভাবে ত্রাণ দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যেগে ত্রাণসামগ্রী বন্যার্থদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে দূর্গম বা নিম্নাঞ্চলে ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজনের তোলনায় কম যাচ্ছে। বন্যা দূর্গত এলাকায় খাদ্যসংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে।
সাউথ সিলেট কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসিব হোসেন খানের তত্ত¡াবধানে কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার শাহাব উদ্দিন আহমদ কামারচাক ইউনিয়নের ইসলামপুর ও আদমপুর এলাকায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে নৌকার মাধ্যমে বানবাসি অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ৫০০ পরিবারের মাঝে এই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মৌলভীবাজার জেলা শাখার পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন দূর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়। নৌকাযোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দেন কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি শাইখুল হাদিস মুফতী হাবিবুর রহমান ক্বাসেমী।
শ্রীমঙ্গলে গ্রান্ড মুবিন রিসোর্ট এর চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও বিএনপি নেতা আব্দুল মুবিন তফাদার এর পক্ষ থেকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাধানগর এলাকার শতাধিক সুবিধা বঞ্চিত লোকজনের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার সহধর্মিণী ইসরাত জাহান মিথু।