সোনাইমুড়ীতে পুলিশ হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু
সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আ'টক যুবদল নেতার মৃ'ত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তাঁর মৃ'ত্যু হয়। আটকের পর মার'ধর এবং সময়মতো চিকিৎসা না দেওয়ায় তাঁর মৃ'ত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজন ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা।
নিহত আবদুর রহমান (৩৪) সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের ছায়েদুল হকের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আবদুর রহমানের চাচাতো ভাই মো. হানিফ জানান, চাচাতো ভাই আবদুর রহমান ও ভাতিজা হাবিবুর রহমানকে (২৫) রোববার দিবাগত রাত চারটার দিকে বাড়ি থেকে আ'টক করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। আটকের পর তাঁদের মা'রধর করা হয়। পরে সকালে দুজনকে সোনাইমুড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়।
তিনি জানান, পুলিশে সোপর্দ করার পর থানায় গিয়ে দুজনকে গুরু'তর আ'হত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু দুজনকে বিকেল পাঁচটায় আদালতে পাঠানো হয়। আদালত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বললে পুলিশ সাড়ে পাঁচটার দিকে দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর আবদুর রহমান মা'রা যান।
এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষো'ভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ঘটনায় বিচার দাবী করেন এবং তারা প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান।
পুলিশ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে সারা দিন থানায় রাখায় আবদুর রহমান মা'রা গেছেন অভিযোগ করে হানিফ আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অ'ত্যা'চারের কারণে ২০১২ সালের পর থেকে এলাকাছাড়া ছিলেন আবদুর রহমান। ৫ আগস্টের পর এলাকায় আসেন তিনি।’
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাজিব আহমেদ বলেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ আবদুর রহমান ও হাবিবুর রহমানকে গুরুতর আহ'ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে আবদুর রহমান মা'রা যান। তাঁদের দুজনেরই শরীরে জ'খম ছিল। তবে কাটাছেঁ'ড়া ছিল না।
এক প্রশ্নের জবাবে রাজিব আহমেদ বলেন, হাবিবুরের অবস্থা এখনো শ'ঙ্কামুক্ত নয়। তিনি আ'তঙ্কিত বোধ করছেন বলে মনে হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে যৌথ বাহিনী পুলিশের কাছে আবদুর রহমান ও হাবিবুর রহমানকে হস্তান্তর করে। তখন তাঁদের অবস্থা ভালো ছিল না। এ কারণে তখনই তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে ১০টা ৫০ মিনিটে থানায় আনা হয়। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ৩টা ১০ মিনিটে আদালতে পাঠানো হয়।’
নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, ‘সময়মতো আদালতে না পাঠিয়ে থানায় আটকে রাখায় চিকিৎসার অভাবে আবদুর রহমান মারা গেছেন। আমরা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’
মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন
আপনি ও পছন্দ করতে পারেন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
আর্কাইভ!
January 2025
2027
2026
2025
2024
2023
Jan
Feb
Mar
Apr
May
Jun
Jul
Aug
Sep
Oct
Nov
Dec
Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat
1
2
3
4
5
6
7
8
9
10
11
12
13
14
15
16
17
18
19
20
21
22
23
24
25
26
27
28
29
30
31