
মিয়ামিতে ভবন ধস: মৃত্যু বেড়ে ৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি শহরের উত্তরাঞ্চলে একটি ১২ তলা আবাসিক ভবন ধসের ঘটনায় সর্বশেষ পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন রয়েছেন আরও ১৫৬ জন। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসহ জরুরি বিভাগ সেখানে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। খবর রয়টার্স।
এর আগে, বৃহ্স্পতিবার (২৪ জুন) চ্যম্পলিন টাওয়ার নামে মিয়ামির ওই আবাসিক ভবনের একাংশ আচমকা ধসে পড়ে। এসময় ভবনটিতে কত জন ছিলেন, সেটি নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি কোনো সূত্র।
কর্মকর্তারা বলছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫ জনকে। তাদের মধ্যে ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হয়েছে। আর দু’জনকে হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে।
মিয়ামি কাউন্টি কমিশনার হোসে ডায়াজ জানিয়েছেন, ওই ভবনে বসবাস করতেন এমন ৫১ জনের সঙ্গে এখনো কোনো যোগাযোগ করা যায়নি। কর্মীরা সম্ভাব্য সব উপায়ে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
সারফসাইডের মেয়র চার্লস বুরকেট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভবনটির পেছনের অংশ একেবারেই ধসে পড়েছে। সম্পূর্ণ ভবনটির এক-তৃতীয়াংশ বা তারও বেশি একদম ধ্বসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মিয়ামির সারফসাইড শহরতলীতে ১২ তলা ভবনটি তৈরি করা হয় ১৯৮১ সালে। ভবনটিতে রয়েছে ১৩০টি ইউনিট। এর মধ্যে ১০০টি অ্যাপার্টমেন্ট সমুদ্র সৈকতমুখী। এর প্রায় অর্ধেক অংশ এই ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওই ভবনটির অক্ষত অংশের বাসিন্দারা বলছেন, বিকট এক শব্দে তারা সচকিত হয়ে ওঠেন। কিন্তু কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। হঠাৎ কম্পন অনুভব করেন এবং ধুলায় ঘরবাড়ি ভরে যায়। অন্যদিকে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যেভাবে টুইন টাওয়ার ধসে পড়েছিল, ঠিক একই ধরনের দৃশ্যই যেন তিনি চোখের সামনে ঘটতে দেখছিলেন।