
সর্বোচ্চ সহায়তা করে ঐকমত্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি: সালাহউদ্দিন
বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে একমত নয় বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে প্রচারণা চলছে তা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “বেশির ভাগ প্রস্তাবের সাথে একমত হয়েছি। শতভাগ প্রস্তাবে যদি একমত হতে হয় তাহলে আলোচনার তো আর দরকার নেই।“
বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, “যতবার জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সাথে বৈঠকে বসেছি, আমাদের দলের পক্ষ থেকে, আমাদের সঙ্গে যুগপথ আন্দোলনের দলগুলোর পক্ষ থেকে আমরা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির জন্য চেষ্টা করে আসছি।
”আমরা জাতির জন্য যেটা কল্যাণকর এবং দেশের জন্য যেটা মঙ্গলজনক ও যেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব সে বিষয়ে আমরা মতামত দিচ্ছি।"
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি এলাকা নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ। সেটি নির্ধারণের প্রস্তাব বিএনপির তরফে দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “নির্বাচনি সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে এসেছে।"
একজন ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকার সময়কালের বিষয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, "আপনারা জানেন যে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের ক্ষেত্রে এখানে একটা প্রস্তাব এসেছে, আমরাই নিজস্ব উদ্যেগে বলেছি যে, কত মেয়াদ এবং কতবার সে বিতর্কে না যেয়ে, আমরা বলেছি যে বছরের মধ্যে আসেন। এটা প্রস্তাবে আসা যায় কিনা যে একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ কত বছর প্রধানমন্ত্রীত্বে বহাল থাকতে পারবেন।
”সে বিষয়ে আমরা আমাদের দল থেকে আলোচনা করে, এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে আমরা পরে এটা অনুমোদন করিয়েছি। কোনো ব্যক্তি জীবদ্দশায় ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকবেন না।