বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট
মোঃ সামিউল আলম, বিরামপুর (দিনাজপুর)
বিরামপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে পূর্ব শত্রুতার জেরে গভীর রাতে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে তিন জনকে গুরুতর জখম করে গরু, স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত দুজনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং একজনকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রবিউল আউয়াল নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় মামলার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার সময় উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের বড় গোপালপুর গ্রামের সামসুল আলমের ছেলে রবিউল আউয়ালের বাড়িতে একই গ্রামের আব্দুল গোফফার এবং তার ছেলে জাহাঙ্গীর ও জাহিদ, আশরাফুল ইসলাম, শাহিনুর, হান্নান, গোলজার আলী সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর, মারধর ও লুটপাট করে। আব্দুল গফফারের হুকুমে সকলে মিলে অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী ভাবে বাড়ির লোকজনদের মেরে জখম করে বসতবাড়ীসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে শোকেসের ড্রয়ার থেকে বাদীর চাচা লুৎফর রহমানের ব্যবসার এক লক্ষ আশি হাজার টাকা লুট করে। এ সময় লুৎফর রহমান এগিয়ে আসলে আসামী আব্দুল গোফফার এবং জাহাঙ্গীর লোহার রড দিয়ে তার মাথায় ও ঠোঁটে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। এমতাবস্থায় বাদীর চাচী রুপছানা বেগম এগিয়ে আসলে আসামী জাহিদ তার ৬ আনা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেন এবং বাদীর চাচাতো ভাই রুহুল আমিন ঠেকাতে গেলে আসামী হান্নান ধারালো হাসুয়া দিয়ে রুহুল আমিনের মাথায় কোপ মারতে যায়। সে ডান হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তার ডান হাতের কব্জিতে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় বাদী রবিউল আউয়াল এগিয়ে আসলে আসামী আব্দুল গোফফার, জাহাঙ্গীর, জাহিদ, আশরাফুল, শাহিনুর, হান্নান, গোলজার সহ অন্যান্যরা মিলে তাকে ধরে বাড়ির আম গাছের সাথে রশি দিয়ে বেধে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে।
এ সময় তারা বাদীর শয়ন ঘরের শোকেসের ড্রয়ার থেকে ব্যবসায়িক গরু বিক্রয়ের তিন লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা লুট করে নেয়। আসামীগণ বাদী এবং বাদীর চাচা, চাচী ও চাচাতো ভাইকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারতে থাকলে তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে এবং তাদেরকে প্রাণে রক্ষা করে। স্থানীয় লোকজনের মাঝেই আসামীগণ তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।