ডার্ক মোড
Monday, 06 May 2024
ePaper   
Logo
বিএসএমআরএএইউ এর উদ্যোগে পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাভিয়েশন পেশাজীবীদের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

বিএসএমআরএএইউ এর উদ্যোগে পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাভিয়েশন পেশাজীবীদের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমআরএএইউ)’ ঢাকা ক্যাম্পাসে ২৫ জুলাই ২০২২ তারিখে “Next Generation Aviation Professionals: Challenges and Prospects for the Academia” শীর্ষক দিনব্যাপী একটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) এশিয়া-প্যাসিফিক অফিসের আঞ্চলিক পরিচালক জনাব তাও মা প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

ওয়েবিনারে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ বিশ্বব্যাপী অ্যাভিয়েশন খাতের বর্তমান চিত্র, ভবিষ্যতের বাজারের চাহিদা মোকাবেলায় এ খাতের চ্যালেঞ্জ ও সহযোগিতার ক্ষেত্র বিশেষকরে ICAO-এর উদ্যোগের উপর আলোকপাত করা হয় যা রাষ্ট্রীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক স্তরে ভবিষ্যৎ অ্যাভিয়েশন পেশাদারদের তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
Mr Tao Ma তার বক্তৃতায় ICAO-APAC আঞ্চলিক অফিসের ভূমিকা সহ পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাভিয়েশন পেশাদারদের একাডেমিক জ্ঞান এবং পেশাদারী দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষক ও গবেষকদের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের বক্তব্যে উল্লেখিত হয় যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে একটি আইনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি (বিএসএমআরএইউ) প্রতিষ্ঠা করেন । উল্লেখ্য যে, ২৬ জুন ২০২২ তারিখে এ বিশ্ববিদ্যালয় লালমনিরহাট ক্যাম্পাসে এর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেছে।

বাংলাদেশের এয়ারলাইন ইন্ডাস্ট্রিতে বর্তমানে প্রায় ১৭,০০০ লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে। তবে সংখ্যাটি দ্রুত বাড়বে কারণ বিমান চলাচল খাতে ব্যাপক উন্নয়ন চলছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনালের কাজ শেষ হওয়ার পর এর যাত্রী পরিবহনের সংখ্যা বার্ষিক ২২ লক্ষে উন্নীত হবে এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা বার্ষিক ২০০,০০০ - ৫০০,০০০ টনে উন্নীত হবে।

ওয়েবিনারের "প্রশ্ন ও উত্তর" পর্বে অ্যাভিয়েশন খাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সমূহের সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে ICAO-APAC অফিসের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বিমান শিল্পের পেশাদার ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিএসএমআরএএইউ-এর ফ্যাকাল্টি সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের Distinguished Expert এয়ার ভাইস মার্শাল gvngy` †nv‡mb অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গ্রূপ ক্যাপ্টেন মোঃ মেজবাহ উদ্দিন, জিডি(পি), বিভাগীয় প্রধান অ্যাভিয়েশন সেইফটি অ্যান্ড এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন । এ ওয়েবিনারটি আগামী দিনের সকল অ্যাভিয়েশন পেশাদারদের অনুপ্রাণিত করবে – এ আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধান অতিথি, অতিথিবৃন্দ ও আয়োজক সদস্যদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. হোসনে নাসরিন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন